ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

কৃষককে কোটিপতি করেছে বসুন্ধরা: আহমেদ আকবর সোবহান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১১
কৃষককে কোটিপতি করেছে বসুন্ধরা: আহমেদ আকবর সোবহান

ঢাকা: দেশের বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিল্প উদ্যোক্তা আহমেদ আকবর সোবহান বলেছেন, জাতীয় অর্থনীতিতে বসুন্ধরা গ্রুপের অবদান অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। এতে বসুন্ধরা গ্রুপের অবদান অনেক।

দেশের যেকোনো এলাকার চেয়ে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা এখন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। এখানে অনেক বিত্তবান লোক বাস করছেন। ’

মঙ্গলবার বেসরকারি খাতের সোশ্যাল ইসলামি ব্যাংক লিমিটেডের (এসআইবিএল) ৭৫তম শাখার উদ্বোধন করতে এসে তিনি এসব কথা বলেন। অভিজাত আবাসিক এলাকা বসুন্ধরা আবাসিক নগরীতে এই শাখার উদ্বোধন করা হয়। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও উদ্যোক্তা (স্পন্সর) আহমেদ আকবর সোবহান আনুষ্ঠানিকভাবে এই শাখার উদ্বোধন করেন।


বিশিষ্ট এই শিল্পপতি আরও বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপ এই এলাকার লক্ষাধিক কৃষককে কোটি টাকার মালিক বানিয়েছে। এই এলাকায় যাদের সামান্য জমি ছিল তারা আজ বাড়ি-গাড়ির মালিক হয়েছেন। একইভাবে বসুন্ধরা গ্রুপ অন্য প্রকল্পগুলোর মাধ্যমেও মানুষের ভাগ্য বদলে দিয়েছে। ’

এর আগে তিনি অনুষ্ঠান স্থলে এসে পৌঁছালে ব্যাংকের পক্ষ থেকে তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হয়।

আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপ দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করছে। ’

এসআইবিএলের পরিচালনা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান হিসেবে স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘এই ব্যাংকের যখন যাত্রা শুরু হয়, তখন এর বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র হয়। ব্যাংকটি দেউলিয়া বানিয়ে হায় হায় কোম্পানি করার পাঁয়তারা হয়েছিল। আমি ছিলাম একজন পরিচালক। তখন আমি এখান থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেসময়ের বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ড. ফরাসউদ্দিন আমাকে ডেকে ব্যাংকটির দায়িত্ব নিতে বলেন। কিন্তু আমি ব্যস্ততার কারণে দায়িত্ব নিতে চাইনি। তখন তিনি আমাকে বলেন, আপনি দায়িত্ব না নিলে আমি একে দেউলিয়া ঘোষণা করে বন্ধ করে দেওয়া হবে। ড. ফরাসউদ্দিনের অনুরোধ, ব্যাংকের সাধারণ আমানতকারির কথা বিবেচনা করে, ৬০০ থেকে ৭০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অন্য পরিচালকদের অনুরোধে দায়িত্ব নিয়েছিলাম। সেই ব্যাংক আজ অনেক দূর এগিয়েছে। ভালো লাগছে আজ তার ৭৫তম শাখার উদ্বোধন করতে এসে। ’

তিনি আরও বলেন, ‘ঐ মুহূর্তে আমি দায়িত্ব না নিলে এটি টিকে থাকত না। জাতীয় অর্থনীতিতে যে অবদান রাখছে তা সম্ভব হতো না। ’

আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, ‘আমি ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পরদিনই এই ব্যাংকের শেয়ারের দাম তিনগুণ বেড়েছিল। আমি বিনিয়োগকারীদের ১৪৮ শতাংশ লভ্যাংশ দিতে পেরেছিলাম। আশা করছি, এই ব্যাংক ভবিষ্যতে আরও এগিয়ে যাবে। এর আমনত ৭০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। ’

এসময় তিনি ব্যাংকগুলোকে সাধারণ মানুষের সেবায় আরও আন্তরিক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এতে করে জাতি এগিয়ে যাবে। দেশের উন্নয়নে সেবা দিতে হবে।

দেশের অভিজাত এলাকা হিসেবে বসুন্ধরায় ব্যাংকের শাখা স্থাপন লাভজনক হবে বলেও জানান বিশিষ্ট এই শিল্পপতি।  

এসআইবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আনিসুল হক। উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের প্রেস ও মিডিয়া উপদেষ্টা মোহাম্মদ আবু তৈয়ব, জ্যেষ্ঠ উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেলায়েত হোসেন, ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহসিন মিয়াসহ বসুন্ধরা গ্রুপের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ব্যাংকের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান আনিসুল হক বলেন, ‘বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অনেক বিত্তবান মানুষের বসবাস। এটি এখন অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। অনেক ব্যবসায়ী এখানে এখানে বসবাস করছেন। তাদের সেবা দিতে আজ এখানে শাখাটি খোলা হলো। ’

তিনি ব্যাংকটিকে এগিয়ে নেওয়ার পেছনে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের অবদানের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘অগ্রজ চেয়ারম্যান হিসেবে এই ব্যাংকের জন্য তার অবদান অনেক। তিনি এর উন্নয়নে কাজ করেছেন। তিনি হাল না ধরলে আজ ব্যাংকটি টিকে থাকতে পারত না। ’

মুহাম্মদ আলী বলেন, ‘বসুন্ধরা মনোমুগ্ধকর এলাকা। এখানে সুধীজনের বসবাস। তাদের সেবা দিতেই এই শাখা। ’   

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৮ ঘণ্টা, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।