ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

পাঁচ বছরে কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হবে: অর্থমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২০
পাঁচ বছরে কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হবে: অর্থমন্ত্রী

ঢাকা: আগামী পাঁচ বছরে দেশে এক কোটির বেশি মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে। এজন্য ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দু’দিনব্যাপী বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ফোরাম ২০২০ (বিডিএফ) সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধান অতিথি হিসেবে সম্মেলনটির উদ্বোধন করেন।

 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীকে উৎসর্গ করা হয়েছে এবারের বিডিএফ সম্মেলন। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন সামনে রেখে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে।  

এবারের বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ফোরামের মূল স্লোগান ‘ইফেক্টিভ পার্টনারশিপ ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’। বিডিএফের উৎপত্তি ১৯৭০ এর দশকে যখন এর নাম ছিল প্যারিস কনসোর্টিয়াম।
 
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মনোয়ার আহমেদ ও জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো।

অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, ফোরামে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের বেশকিছু উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার শীর্ষস্থানীয়রা অংশ নিয়েছেন। বৈঠকের মূল অধিবেশনের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘ইফেক্টিভ পার্টনারশিপ ফর ইমপ্লিমেন্টিং দ্য এইটথ ফাইভ ইয়ার প্ল্যান এইমিং টুওয়ার্ডস অ্যাচিভিং এসডিজিস। ’ 

সম্মেলনে কিনোট অধিবেশনসহ মোট নয়টি কর্ম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম এবার এমন একটি সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের বিভিন্ন মাপকাঠিতে এগিয়ে চলেছে। এখন ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের শেষ পর্যায়ে রয়েছে। একইসঙ্গে সরকার অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ও ২০৪১ সালের মধ্যে একটি সুখী সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ গঠনে কাজ করছে সরকার।  

‘এরই পরিপ্রেক্ষিতে এবার ফোরামে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার রূপরেখা, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে সরকারের পদক্ষেপগুলো বা বিভিন্ন আর্থসামাজিক অগ্রাধিকার খাতে সরকারের মধ্যমমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। ’

অর্থমন্ত্রী দেশের অগ্রগতি সম্পর্কে আরো বলেন, আমাদের এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য আমাদের অর্থায়ন করতে হবে এবং এ লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার প্রাক্কলন অনুযায়ী, দারিদ্র্যের হার ২০২১ সালে ১৭.২ শতাংশ থেকে কমে ২০২৫ সালে ১২.১ শতাংশ হবে। অতি দারিদ্র্যের হার ৮.৩৭ শতাংশ হতে ৫.২৮ শতাংশে নেমে আসবে। মোট বিনিয়োগের পরিমাণ জিডিপির তুলনায় ২০২০ সালের ৩২.৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৭.২ শতাংশ হবে। এর মধ্যে সরকারি খাতের বিনিয়োগ ৮.২ থেকে ৯.০ শতাংশ এবং ব্যক্তিখাতের বিনিয়োগ ২৪.৫ থেকে ২৮.২ শতাংশ হবে। পাঁচ বছর সময়কালে দেশের ভিতরে ও বাইরে মোট ১০.৫ মিলিয়ন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।  

পরিকল্পনার প্রাক্কলন অনুযায়ী জিডিপির প্রবৃদ্ধি ২০২০ সালে ৮.২৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২৫ সালে ৮.৫১ শতাংশ হবে। আগামী পাঁচ বছরে মেগা প্রজেক্টগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে।  

বিডিএফ সম্মেলন ২০২০ উপলক্ষে জাইকার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জুনিচি ইয়ামাদা, বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শেফার, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট শিজিন সেন অর্থমন্ত্রীর শেরে বাংলানগর কার্যলয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। তারা পারস্পারিক বিভিন্ন বিষয় ও সহযোগিতা সম্পর্কে আলোচনা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২০
এমআইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।