ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘বছর শেষে ২১ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স আসবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৯
‘বছর শেষে ২১ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স আসবে’

ঢাকা: চলতি অর্থবছর (২০১৯-২০) শেষে এক কোটি প্রবাসীর কাছ থেকে ২১ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স আসবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।

সরকার রেমিট্যান্সের ওপর নির্ভরশীল জানিয়ে তিনি বলেন, গতবছর সাড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। আমরা বিশ্বাস করি এবছর শেষ না হতেই রেমিট্যান্স সাড়ে ১৬ বিলিয়ন থেকে ২১ বিলিয়ন ডলারের বেশি যাবে।

এজন্য আমাদের দক্ষ শ্রমিক পাঠাতে হবে।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মন্ত্রী। এসময় প্রবাসী কল্যাণ সচিব সেলিম রেজা, অতিরিক্ত সচিব ড. আহমদ মুনিরুছ সালেহীন, বাংলাদেশ বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক শামসুল হক, ওয়েজ আনার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক গাজী জুলহাসসহ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, আমরা বারবার দক্ষ শ্রমিকের কথা বলছি। অদক্ষ শ্রমিকের চাহিদা দিনদিন কমে যাচ্ছে। দেশে এখনও ৪০ শতাংশ অদক্ষ শ্রমিক রয়েছে। আমরা চাই তাদের দিকে নজর দিতে। সরকার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যবস্থাপনায় দক্ষ শ্রমিক তৈরির জন্য অনেক উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে প্রতি উপজেলায় একটি করে প্রশিক্ষণ সেন্টার স্থাপন করা হবে। এ প্রক্রিয়া চলমান আছে।  

তিনি বলেন, প্রতিটি উপজেলায় প্রশিক্ষণ সেন্টার করার একটি উদ্দেশ্য আছে। অনেক উপজেলা থেকে বিদেশে যাওয়ার মানুষের হার খুবই কম। আমরা চাই বিদেশে যাওয়ার সুযোগ থাকলে সারাদেশে সবার জন্য থাকা উচিত। এজন্য সরকারের ইশতেহার অনুযায়ী দেশের প্রতিটি উপজেলা থেকে এক হাজার দক্ষকর্মীকে বিদেশ পাঠানো হবে। এটি বাস্তবায়নের জন্য সব উপজেলায় প্রশিক্ষণ সেন্টার স্থাপন করা হবে।  

শিগগিরই মালয়েশিয়ার বাজার খুলবে জানিয়ে তিনি বলেন, কম খরচে অভিবাসনে আমরা কর্মী পাঠাতে চাই, এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। একইসঙ্গে নতুন নতুন বাজার খোলা। তবে অনেক বাজার খোলা হয়েছে অনেক বাজার হয়নি। আবার অনেক বাজারে সমস্যা রয়েছে সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি। তবে সমস্যাটা আমাদের না বিদেশের।  

ফেরত আসা শ্রমিকদের পুনর্বাসনে সরকার কী করছে এমন প্রশ্নের জবাবে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, যতই দালাল চক্রের কথা বলেন, যেখানে যেখানে প্রতারণা, লাঞ্ছনা বঞ্চনার খবর আসে সেগুলো জনগণের সামনে ভালোভাবে তুলে ধরতে হবে। গত কয়েক মাসে আমাদের অনেক নারী শ্রমিক ফেরত এসেছেন। লাঞ্ছনা, হয়রানিসহ সবকিছু মিলিয়ে গত ১০ বছরে ৯ হাজার নারী কর্মী ফেরত এসেছেন। যেসব দেশ থেকে নারী কর্মীরা ফেরত এসেছেন সেসব দেশের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।

নতুন বাজারের কী অবস্থা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, জাপানে বর্তমানে দক্ষকর্মী যাচ্ছে, তারা আরো নেবে। ভিয়েতনাম ও সিশেল যাওয়া শুরু হয়েছে। পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোতে লোক পাঠানো হবে বাজার দেখার জন্য। উগান্ডা, কম্বোডিয়া, ক্রোয়েশিয়া ও রোমানিয়ায় আলোচনা হচ্ছে।  

সচিব সেলিম রেজা বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারো যথাযোগ্য মর্যাদায় মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাংলাদেশে উদযাপিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস। দিবস উপলক্ষে আগামী ১৯ ডিসেম্বর দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৯
জিসিজি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।