ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

ভ্যাট ফাঁকি রোধে ব্যবসায়ীদের মেশিন দেওয়া হবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০১৯
ভ্যাট ফাঁকি রোধে ব্যবসায়ীদের মেশিন দেওয়া হবে

ঢাকা: চলতি মাস থেকে (ডিসেম্বর) ব্যবসায়ীদের ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।

রোববার (০৮ ডিসেম্বর) সেগুনবাগিচার রাজস্ব ভবনে জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ-২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত মিট দ্যা প্রেসে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, এ মাসে ব্যবসায়ীদের হাতে ইএফডি মেশিন তুলে দেওয়া হবে।

প্রথমে ১০ হাজার মেশিন দেওয়া হবে। একই সঙ্গে চলতি অর্থবছরের মধ্যে ৫০ শতাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এ মেশিন পাবে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের টোটাল ভ্যাটের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ ভ্যাট আসে বড় প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে। ট্রেড ভ্যাটের পরিমাণ অনেক কম। গতবছর ট্রেড ভ্যাট থেকে এসেছে ৩ শতাংশ ভ্যাট। এবছর নতুন মেশিন সংযোজনের কারণে স্বচ্ছতা আসবে। এবছর এখান থেকে ভ্যাট ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ট্রেড ভ্যাট আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, নতুন এই মেশিনের মূল্য পড়বে ১৭ হাজার টাকা। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পর্যায়ক্রমে এই মেশিনের মূল্য নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, সরকার ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিচ্ছে। তাই সরকারকেও প্রাপ্য রেভিনিউ দিতে হবে। ভ্যাট আদায়ের ক্ষেত্রে আমরা ছাড় দিয়েছি। তবে এখন থেকে আমাদের ভ্যাট আদায় কঠোর হতে হবে বলেও তিনি জানান।

তিনি আরো বলেন, ভ্যাট আদায়ে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। ভ্যাট আদায় গত বছরের তুলনায় এ বছর ৯ শতাংশ বেড়েছে।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, দেশে বিনিয়োগ বাড়ছে উন্নয়ন হচ্ছে। কৃষিতে যথেষ্ট উন্নয়ন হচ্ছে। বাংলাদেশের কৃষি পৃথিবীতে উল্লেখযোগ্য অবস্থানে রয়েছে। আমাদের কৃষিতে উৎপাদন বেড়েছে, বর্তমানে পেঁয়াজ নিয়ে যে সংকট রয়েছে আগামী বছর সেটিও থাকবে না। কৃষকরা পেঁয়াজ  উৎপাদন করে আগামী বছর জনগণকে ভাসিয়ে দিতে পারবে বলেও তিনি জানান।

তিনি আরো বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের রাজস্ব প্রয়োজন। এজন্য এনবিআর ১০ ডিসেম্বর জাতীয় ভ্যাট দিবস  ও ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত জাতীয় ভ্যাট সপ্তাহ পালন করবে। ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরে ভ্যাট সপ্তাহ পালন করা হবে। এ ভ্যাট সপ্তাহের উদ্দেশ্য হলো ভ্যাট সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করে তোলা। মানুষ যাতে ভোট দিতে আগ্রহ হয়।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দুই লাখ ২ হাকার ৩১৩ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়। তার মধ্যে ভ্যাট থেকে রাজস্ব দিতে আদায় হয় ৭৮ হাজাট ৬৯৪ কোটি টাকা, যা মোট আহরিত রাজস্বের ৩৯ ভাগ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা তিন লাখ ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ১৭ হাজার ৬৭২ কোটি টাকা, যা মোট রাজস্বের ৩৬ দশমিক ১৪ ভাগ। করদাতাদের আন্তরিক সহযোগিতা ও ভ্যাট কর্মকর্তাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টায় এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৯
এসএমএকে/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।