ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

দেশকে উন্নত বিশ্বের কাতারে নিতে ভূমিকা রাখছে বস্ত্রখাত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১৯
দেশকে উন্নত বিশ্বের কাতারে নিতে ভূমিকা রাখছে বস্ত্রখাত 'জাতীয় বস্ত্র দিবস-২০১৯' উদযাপন।

ঢাকা: বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বের কাতারে নিতে বস্ত্রখাত প্রধান রপ্তানি খাত হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলে জানান বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। 

বুধবার (০৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস-২০১৯’ উপলক্ষে আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি উদ্বোধন করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। ‘বস্ত্রখাতের বিশ্বায়ন, টেকসই উন্নয়ন’, এই প্রতিপাদ্য নিয়ে দেশে প্রথমবারের মতো পালিত হচ্ছে দিবসটি।

গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, বাংলাদেশের বস্ত্রখাত সমগ্র বিশ্ববাসীকে চমকে দিয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের বস্ত্রখাতের অবস্থান বিশ্বে দ্বিতীয়। আগামীতে এই খাত যেন বিশ্বের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করতে পারে সেজন্য সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ‘ভিশন ২০২১’ অনুযায়ী, ২০২১ সালের মধ্যে বস্ত্রখাতের রপ্তানি ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য কাজ করছে। এ ধারাবাহিকতায় বস্ত্রখাতের সঠিক বিকাশ ও সুরক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার করণীয় নির্ধারণ করে বিভিন্ন বিষয় সুনির্দিষ্ট করে ‘বস্ত্রনীতি-২০১৭’ এবং ‘বস্ত্র আইন-২০১৮’ প্রণয়ন করা হয়েছে।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী বলেন, রানা প্লাজা ধসের পর বস্ত্রখাতের যে ক্ষতি হয়েছিল, বর্তমানে তা কাটিয়ে উঠে এই খাত নতুন করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এখন অধিকাংশ কোম্পানি শতভাগ কমপ্লায়েন্স পালন করছে। তৈরি পোষাক শিল্পে উন্নতমানের সবুজ কারখানা (গ্রিন ফ্যাক্টরি) নির্মাণে বিশ্বের প্রথম ১০টি উন্নত মানের কারখানার সাতটিরই অবস্থান বাংলাদেশে।

তিনি বলেন, আমাদের বস্ত্রখাত আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রেখে এগিয়ে চলছে। বিশ্বের যে কোনো উন্নত দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বস্ত্রখাত প্রতিযোগিতা করার সক্ষমতা অর্জন করেছে। এটি ধরে রাখতে হলে বস্ত্রখাতে বাংলাদেশকে বিভিন্ন ধরনের বৈচিত্র্যময় পণ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। একইসঙ্গে আমাদের হাই ভ্যালু প্রোডাক্ট তৈরি করে এ খাতকে আরও এগিয়ে নিতে হবে। এটি করা গেলে দেশের বস্ত্রখাত দ্রুত সারাবিশ্বের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী, ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের কাতারে প্রবেশ করতে পারবে, এই আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে বস্ত্র ও পাটখাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

বস্ত্র ও পাট সচিব লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে প্রবেশ করেছে। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ বিশ্বের উন্নত দেশে পরিণত হবে। আর এই ক্ষেত্রে আমাদের বস্ত্রখাত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে হবে। আজ ৪ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে জাতীয় বস্ত্র দিবস পালন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আগামী ৯ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র (বিআইসিসি), ঢাকায় বস্ত্র দিবসের মূল অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ওই অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন ঘোষণার সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। এ অনুষ্ঠানে বস্ত্র দিবসের গুরুত্ব এবং বস্ত্র সংক্রান্ত বিষয়ে আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেওয়া হবে।

জাতীয় বস্ত্র দিবস উপলক্ষে সকালে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আয়োজিত এই বর্ণাঢ্য র‌্যালির আয়োজন করা হয়। মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী ও সচিব লোকমান হোসেন মিয়া এই র‌্যালির নেতৃত্ব দেন।

র‌্যালিটি সকাল ৯টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে শুরু হয়ে খামারবাড়ি মোড় ঘুরে আবার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালির শুরুতে শান্তির প্রতীক কবুতর ও বেলুন ওড়ানো হয়। র‍্যালিতে যারা অংশ নিয়েছেন, তাদের হাতে নানা ধরনের ফেস্টুন ও ব্যানার ছিল।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৯ 
জিসিজি/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।