ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

সিলেট বিমানবন্দরে রিফুয়েলিং স্টেশন স্থাপন নিয়ে অর্থমন্ত্রীর হতাশা

হাসান আজাদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০১০
সিলেট বিমানবন্দরে রিফুয়েলিং স্টেশন স্থাপন নিয়ে অর্থমন্ত্রীর হতাশা

ঢাকা : সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রিফুয়েলিং স্টেশন স্থাপন নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী জিএম কাদেরকে গত ৪ সেপ্টেম্বর লেখা এক চিঠিতে মন্ত্রী এ হতাশা প্রকাশ করেন।



চিঠিতে বলা হয়, আমি নিশ্চিত তো ছিলাম, সিলেট বিমানবন্দরে রিফুয়েলিং স্টেশন স্থাপনের কাজ আসন্ন হজ মৌসুমের আগেই শেষ হবে। কিন্তু গতকাল (৩ সেপ্টেম্বর) বিমানবন্দরের পরিচালকের সঙ্গে আলোচনায় যে চিত্র পেলাম তা খুবই হতাশাজনক।

রিফুয়েলিং স্টেশন স্থাপন করতে আজ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কোনো দপ্তর কোথায় স্টেশনটি স্থাপন করা হবে সে ব্যাপারে পরিচালকের কাছে কোনো আবেদনই করেনি।

চিঠিতে আরো বলা হয়, রিফুয়েলিং স্টেশন স্থাপনের বিষয়টি এখন শুধুমাত্র একটি জনশ্রুতি। আমার মনে হয়, এ ব্যাপারে যারা গাফিলতি করেছেন তাদের সাবধান করে দেওয়া দরকার এবং কাজটি দ্রুতগতিতে শেষ করা উচিত।

সিলেট বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমেদ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডি‘কে বলেন, রিফুয়েলিং স্টেশন না থাকার কারণে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হলেও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ ছাড়া অন্য কোনো উড়োজাহাজ এখানে আসে না।

তিনি বলেন, এটা খুব স্বাভাবিক যে জ্বালানি নেওয়ার যদি কোনো সুযোগ না থাকে তাহলে আন্তর্জাতিক কোনো উড়োজাহাজই এখানে আসবে না।

গত ৩ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে তার সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর আলোচনা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।

এদিকে, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের শুরুতে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে রিফুয়েলিং স্টেশন স্থান করার জন্য ৪১ কোটি ৬৪ লাখ ব্যয়ে একটি উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সূত্র জানায়, দেশে জেড ফুয়েলের রিফুয়েলিং স্টেশন নির্মাণ করে একমাত্র পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড। কিন্তু বিমানবন্দরের সব কাজ যেহেতু বিমান মন্ত্রণালয় তদারকি করে থাকে, সেজন্য রিফুয়েলিং স্টেশন কোথায় স্থাপন করা হবে তা নির্ধারণ করা মন্ত্রণালয়েরই দায়িত্ব। পদ্মা শুধু তা স্থাপনের কাজ করতে পারে।

২০০২ সালের ৩ নভেম্বর সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জেট ফুয়েল নেওয়ার রিফুয়েলিং স্টেশন থাকতে হবে। যদিও তা বাধ্যতামূলক নয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।