ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

পরিবহন ধর্মঘটের অজুহাতে চড়া সবজি-মাছের বাজার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৯
পরিবহন ধর্মঘটের অজুহাতে চড়া সবজি-মাছের বাজার বাজরে মাছ-সবজি

ঢাকা: পরিবহন ধর্মঘটের অজুহাতে আবারও চড়া রাজধানীর সবজিবাজার। সবজিভেদে প্রতিকেজিতে দাম বেড়েছে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। অন্যদিকে বেশ চড়া মাছের বাজারও। মাছভেদে কেজিপ্রতি ২০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দাম রাখা হচ্ছে। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে ডিম, মুরগি ও মাংসের দাম।

বিক্রেতারা বলছেন, পণ্য পরিবহন ধর্মঘটের কারণে অনেক জেলা থেকে বাজারে মাল না আসায় ঘাটতি রয়েছে। এতে পাইকারি বাজারে দাম বাড়তি হওয়ায় প্রভাব পড়েছে খুচরাতে।

আর ক্রেতারা বলছেন, অবরোধ হলেও বাজারে কোনো মালের ঘাটতি নেই, তাই দাম বাড়ার কোনো কারণ থাকতে পারে না।  

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র উঠে এসেছে।

রাজধানীর সেগুনবাগিচা, শান্তিনগর, খিলগাঁও, ফকিরাপুল, মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি কাঁচা বাজারে প্রতিকেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতিকেজি শিম (কালো) বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা, শিম (সাদা) ৮০ টাকা, গাজর (ফ্রেশ) ৯০ থেকে ১০০ টাকা, গাজর রেগুলার ৭০ টাকা, পটোল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঝিঙা-ধুন্দল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাকরোল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বেগুন আকারভেদে ৬০ থেকে ১০০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শসা (প্রকারভেদে) ১০০ থেকে ১২০ টাকা, ক্ষিরা ৭০ টাকা, কচুর ছড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কচুর লতি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচামরিচ প্রতিকেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া আকারভেদে প্রতি পিস বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ফুলকপি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, লাউ ৫০ থেকে ৭০ টাকা, জালিকুমড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকায়।

অথচ দু’দিন আগে এসব বাজারে সব সবজির দামই ছিল সহনীয় পর্যায়ে।

টিঅ্যান্ডটি কাঁচা বাজারের সবজি বিক্রেতা হাবিব বলেন, আজ পাইকারি বাজারে মালামাল সংকট রয়েছে। অবরোধের কারণে অনেক জেলা থেকে মাল আসতে পারেনি। এজন্য সেখানে দাম বেশি রয়েছে যার প্রভাব পড়েছে খুচরাতে।

তবে তার কথা মানতে নারাজ এ বাজারেই ক্রেতা হামিদা। তিনি বলেন, পাইকারি বাজারে মালের সংকট থাকলে খুচরাতেও মালের সংকট থাকার কথা। কিন্তু এখানে অন্যদিনের মতোই মালামাল আছে, শুধু দামে বাড়তি। ব্যবসায়ীদের যুক্তি অযৌক্তিক।

মাছের বাজারও বেশ চড়া। মাছভেদে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দাম রাখা হচ্ছে। বাজারে প্রতিকেজি (এক কেজি সাইজ) ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১০০০ টাকায়, ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া কাচকি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, মলা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, ছোট পুঁটি (তাজা) ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, শিং ৪০০ থেকে ৭০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, চিংড়ি (গলদা) ৪৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, বাগদা ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি চিংড়ি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, রুই (আকারভেদে) ২৬০ থেকে ৪০০ টাকা, মৃগেল ২২০ থেকে ৩০০ টাকা, পাঙাস ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা, কৈ ১৮০ থেকে ২২০ টাকা, কাতল ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

নারায়ণ নামে শান্তিনগর বাজারের এক মাছ বিক্রেতা বলেন, দু’দিনের মধ্যে মাছের দাম বেড়েছে। এর আগে দাম কম ছিল। তার মতে, বাজারে মাছের আমদানি কম থাকায় বাড়তি দাম, আমদানি বাড়লে আবারও কমে আসবে দাম।

অন্যদিকে ডিম, মুরগি ও মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এসব বাজারে প্রতিকেজি বয়লার ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা, লেয়ার ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, সাদা লেয়ার ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লাল ডিম প্রতিডজন ১০০ টাকা, সাদা ৯৫ টাকা, হাঁসের ডিম ১৪৫ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা, খাসি ৭৮০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের চাল।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৯
ইএআর/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।