ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

সরবরাহ বাড়ায় কমেছে সবজির দাম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৯
সরবরাহ বাড়ায় কমেছে সবজির দাম

ঢাকা: রাজধানীতে শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ায় কিছুটা কমেছে সব ধরনের সবজির দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। অন্যদিকে, মাছ-গরু, খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও কমেছে ডিম ও মুরগির দাম। তাছাড়া আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে চাল, ডাল, ভোজ্যতেল।

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাজধানীর খিলগাঁও, মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি, ফকিরাপুল কাঁচাবাজার, সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজার, রামপুরা কাঁচাবাজার, খিলগাঁও রেলগেট বাজার কাঁচা বাজার ঘুরে এসব চিত্র দেখা যায়।

এসব বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে প্রতিকেজি মানভেদে টমেটো ৯০-১০০ টাকা, গাজর (আমদানি) ৬০-৭০ টাকা, গাজর (দেশি) বিক্রি হয়েছে ৪০-৫০ টাকা, কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এক সপ্তাহে আগে এসব বাজারে প্রতিকেজি টমেটো ১০০-১২০ টাকা, গাজর (আমদানি) ৭০-৮০ টাকা, গাজর (দেশি) বিক্রি হয়েছে ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে।

এসব বাজারে কেজিতে ৫-১০ টাকা পর্যন্ত কমে প্রতিকেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকা, করলা ৩০-৪০ টাকা, মূলা ৩০-৪০ টাকা, বেগুন আকারভেদে ৪০-৬০ টাকা, কচুরলতি ৩০-৪০ টাকা, পটল ৩০-৪০ টাকা, ঝিঙা ৩০-৪০ টাকা, কাকরোল ৩০-৪০ টাকা, ঢেড়স ৩০-৪০ টাকা, বিট ৪০-৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে কেজিপ্রতি ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে শসার দাম। বর্তমানে কেজিপ্রতি শসা ৯০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে, ক্ষিরা (শসা) বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা কেজি দরে।

এছাড়া পাঁচ টাকা পর্যন্ত কমে আকারভেদে প্রতিপিস বাঁধাকপি ২০-২৫ টাকা, ফুলকপি ১৫-২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিপিস লাউ ৩০-৪০ টাকা, জালি কুমড়া ২০-৩০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

তবে সবজির দাম কিছুটা কমলেও অপরিবর্তিত শাকের বাজার। প্রতি আটি (মোড়া) লাল শাক ৭-১০ টাকা, মুলা শাক ৮-১২ টাকা, পালং শাক ১৫-২০ টাকা, কুমড়া শাক ২০-২৫ টাকা, লাউ শাক ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে এসব বাজারে।

ফকিরাপুল কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা শরিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, সবজির দাম সব সময় সরবরাহের উপর নির্ভর করে। সরবরাহ বাড়লে দাম কমে যায় আবার সরবরাহ কমলে কিছুটা দাম বেড়ে যায়।

সবজির দাম নিম্নমুখী থাকলেও এসব বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে মাছের দাম। বাজারে প্রতিকেজি (এক কেজি সাইজ) ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০-৮৫০ টাকায়, ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬৫০-৭০০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া কাচকি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকা, মলা ৩০০-৩৫০ টাকা, ছোট পুঁটি (তাজা) ৪০০-৫০০ টাকা, শিং ৩০০-৫৫০ টাকা, পাবদা ৩০০-৪০০ টাকা, চিংড়ি (গলদা) ৪০০-৬৫০ টাকা, বাগদা ৪৫০-৭০০ টাকা, হরিনা ৩০০-৪৫০ টাকা, রুই (আকারভেদে) ২৫০-৩৫০ টাকা, মৃগেল ২০০-২৮০ টাকা, পাঙাস ১২০-১৩০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০-১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ফের দাম কমেছে মুরগি ও ডিমের দাম। এসব বাজারে প্রতিকেজি বয়লার ১২০-১২৫ টাকা, লেয়ার ১৭০-১৯০ টাকা, সাদা লেয়ার ১৬০-১৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লাল ডিম প্রতিডজন ১০০ টাকা, সাদা ৯৫ টাকা, হাঁসের ডিম ১৩০-১৪০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ১৪০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে অপরিবর্তিত আছে গরু ও মহিষের মাংস, খাসি ও বকরির মাংস, চাল, ডাল ও ভোজ্যতেলের দাম।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৯
ইএআর/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।