ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

ইলিশে বাজার সয়লাব

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৯
ইলিশে বাজার সয়লাব বাজারে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। ছবি: বাংলানিউজ

বরিশাল: নিষেধাজ্ঞা শেষ হতে না হতেই বরিশাল নগরের পোর্টরোডস্থ একমাত্র বৃহত্তর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি (বেসরকারি) সরগরম হয়ে উঠেছে। 

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ৯টার মধ্যে রুপালি ইলিশে সয়লাব হয়ে গেছে বরিশাল নগরের পোর্টরোডস্থ এ অবতরণ কেন্দ্র বা পাইকারি বাজারটি।  

এর আগে ভোর থেকে বরিশালের বিভিন্ন স্থান থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও জেলেরা পাইকারি বাজারটিতে ইলিশ নিয়ে আসতে শুরু করেন।

বাজারে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ।  ছবি: বাংলানিউজফলে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায়ীদের হাঁকডাক, শ্রমিকদের কর্মব্যস্ততায় মুখরিত হয়ে ওঠে পাইকারি এ বাজারটি।  আর একসঙ্গে প্রচুর মাছের দেখা পেয়ে বেজায় খুশি জেলে থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা।

পাইকার ব্যবসায়ীরা জানান, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমকে ঘিরে নদী ও সাগরে ইলিশ শিকারে টানা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা ছিলো। যে নিষেধাজ্ঞা শেষে ৩০ অক্টোবর রাত ১২টার থেকেই জেলেরা মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে নদী ও সাগরে নেমে পড়েন। বাজারে আনা হচ্ছে ইলিশ।  ছবি: বাংলানিউজ যদিও এখনো সাগরের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রগুলোতে আসেনি।  তবে, নদীর রুপালি ইলিশেই সকাল থেকে বাজার দখল করে ফেলেছে।

মৎস ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন জানান, একসঙ্গে প্রথমদিনে এতো মাছ ধরা পড়ায় জেলেরা যেমন খুশি, তেমন বাজারেও মাছের দেখা মেলায় ব্যবসায়ীরাও খুশি। এভাবে ইলিশের আমদানি থাকলে সামনের দিনগুলোতে জেলে-ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের ভালো কাটবে। পাশাপাশি ক্ষতিও পুষিয়ে ওঠা যাবে তারা।

তবে, অন্য ব্যবসায়ীরা বলছেন, সাগর থেকে মাছ আসতে কয়েকদিন সময় লাগবে। সেক্ষেত্রে নদী থেকে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়তে থাকলে এবং সাগরের মাছও আসতে শুরু করলে বাজারগুলো পুরো ইলিশে আরও সয়লাব হয়ে যাবে। ফলে ইলিশের দামও কমে যাবে। বাজারে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ।  ছবি: বাংলানিউজএদিকে বাজার ঘুরে দেখা গেছে সকাল থেকেই নগরের পোর্টরোডস্থ একমাত্র বৃহত্তম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটিতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাইকারি এ বাজারটিতে ইলিশের চাপও বাড়তে থাকে। বিভিন্ন স্থান থেকে নৌকা ও ট্রলার করে ইলিশ নিয়ে আসতে দেখা গেছে ব্যবসায়ী ও জেলেদের।  সকাল থেকেই ইলিশের আমদানি বাড়তে থাকায় শ্রমিকদের কাজের চাপও টানা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার পর বেড়ে গেছে। বরফকল, বরফভাঙা, মাছ প্যাকিংসহ সর্বোত্র তারা কর্মব্যস্ত সময় পার করছেন।

এদিকে বাজারে এখন পর্যন্ত যে ইলিশ এসেছে, তাতে পুরাতন বা আগে ধরে রেখে সংরক্ষণ করা মাছ নেই বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে, এখন পর্যন্ত এ বাজারে আসা প্রতিটি ইলিশের আকার দেখে খুশি তারা।

ব্যবসায়ীরা জানান, বৃহস্পতিবার ৬ থেকে ৯শ গ্রামের ইলিশের পাইকারি দর মণপ্রতি ২৪ থেকে ২৫ হাজার টাকা, এককেজি ওজনের ইলিশের মণ ৩০ হাজার টাকা, ১২শ গ্রামের ওপরে ইলিশের মণ ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা। ইলিশ কিনতে বাজারের ক্রেতাদের ভিড়। এদিকে বরিশাল জেলা মৎস্য কার্যালয়ের কর্মকর্তা (হিলসা) মৎস বিমল চন্দ্র দাস বাংলানিউজকে জানান, নদীতে প্রচুর মাছ থাকায় জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ উঠছে। ফলে অল্প সময়ের মধ্যে তারা ইলিশ ধরে বাজারে নিয়ে আসতে পেরেছেন।

ইলিশের পেটে ডিম রয়েছে এমন অভিযোগের বিষয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, ইলিশের পেটে সারাবছরই ডিম থাকে। শুধু প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়। বাকি সময় ইলিশের পেটে ডিম থাকলে এটা স্বাভাবিক ঘটনা।

আরও পড়ুন>>ইলিশের জোয়ারে জেলের মুখে হাসি

বাংলাদেশ সময়: ১১০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৯
এমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।