ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

শেয়ারবাজার

টানা পতনে সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ৭৮০ কোটি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৯
টানা পতনে সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ৭৮০ কোটি

ঢাকা: আস্থা ও তারল্য সংকটের কারণে পতনের পর পতনে পড়েছে দেশের পুঁজিবাজার। বিনিয়োগকারীদের আস্থা সংকট দেখা দেওয়ায় পুঁজিবাজার স্থিতিশীল হচ্ছে না। অব্যাহতভাবে সূচকের পতন হচ্ছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে সূচক ও লেনদেনে ভাটা পড়েছে। বিধায়ী সপ্তাহ (৬ থেকে ১০ অক্টোবর) পতনে পার করেছে দেশের শেয়ারবাজার।

সপ্তাহটির চার কার্যদিবসেই সূচক ও লেনদেন কমেছে। লেনদেন কমেছে ৭৮০ কোটি টাকার। এর মধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ৬৮২ কোটি ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ৯৭ কোটি টাকা।

শনিবার (১২ অক্টোবর) ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

বিদায়ী সপ্তাহের চার কার্যদিবসে ডিএসইতে এক হাজার ২৭৬ কোটি ৮৭ লাখ আট হাজার ৩০৩ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ৬৮২ কোটি ৮১ হাজার ২০০ টাকা বা ৩৪.৮২ শতাংশ কম। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ৯৫৮ কোটি ৮৭ লাখ ৮৯ হাজার ৫০৮ টাকার।

ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ৩১৯ কোটি ২১ লাখ ৭৭ হাজার ৭৫ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৩৯১ কোটি ৭৭ লাখ ৫৭ হাজার ৯০১ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ৭২ কোটি ৫৫ লাখ ৮০ হাজার ৮২৫ টাকা কমেছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১২৭ পয়েন্ট বা ২.৫৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে চার হাজার ৮১০ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ২৫ পয়েন্ট বা ২.২০ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫১ পয়েন্ট বা ২.৮৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১১১ পয়েন্ট এবং ১৭০৪ পয়েন্টে।

গত সপ্তাহে ডিএসইর দাম বাড়তির শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো- এমএল ডাইং, এটলাস বাংলাদেশ, ন্যাশনাল টিউবস, প্রাইম টেক্সটাইল, ওয়াটা কেমিক্যাল, আইসিবি প্রভিডেন্ট ফান্ড, উসমানিয়া গ্লাস, সুহৃদয় ইন্ডাস্ট্রিজ, সিলকো ফার্মা ও সেলভো কেমিক্যাল।

গত সপ্তাহে ডিএসইর দাম কমতির শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো- আলহাজ টেক্সটাইল, এসইএমএল গ্রোথ ফান্ড, সিএপিএম বিডিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ফনিক্স ফাইন্যান্স, ক্যাটালি টেক্সটাইল, আরএন স্পিনিং, ন্যাশনাল পলিমার, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ ও ওয়াকিন পলিমার।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর ৩৫৭ কোম্পানির মধ্যে সপ্তাহজুড়ে গড়ে দাম বেড়েছে ৩৬ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের, কমেছে ৩০৫ কোম্পানির। অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪টির দাম এবং দুইটি কোম্পানির কোনো লেনদেনই হয়নি।

এদিকে, অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহজুড়ে ৫২ কোটি ৯৩ লাখ ৪৮ হাজার ৪৪৫ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১৫০ কোটি ৮৯ লাখ ৮৩ হাজার ৮৮৭ টাকার। এ হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে ৯৭ কোটি ৯৬ লাখ ৩৫ হাজার ৪৪২ টাকা বা ৬৫ শতাংশ লেনদেন কমেছে।

বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৬৭ পয়েন্ট বা ২.৪৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৬৫৫ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসসিএক্স ২২২ পয়েন্ট বা ২.৪৩ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ২৩৫ পয়েন্ট বা ১.৭৮ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ২৫ পয়েন্ট বা ২.২৫ শতাংশ এবং সিএসআই ২১ বা ২.১৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে আট হাজার ৯০০, ১২ হাজার ৮৮৭, এক হাজার ৭৯ ও ৯৫৯ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর ৩০০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের হাত বদল হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৪৫টির, কমেছে ২৪৭টির এবং অপরিবর্তিত আটটির।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৯
এসএমএকে/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad