ঢাকা: চট্টগ্রাম-সিঙ্গাপুর রুটে চলাচলকারী কন্টেইনার ভেসেল (মালবাহী জাহাজ) ইয়াঙ্গুন বন্দরে নোঙ্গর করার সুযোগ, সীমান্তবাণিজ্য বৃদ্ধি, কন্ট্রাক্ট ফার্মিং, মৎস্য খাতে সহযোগিতা ও ব্যবসায়িক ভিসা ও বর্ডার পাসের মেয়াদ বৃদ্ধিসহ ১১টি বিষয় নিয়ে পাশ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারের সঙ্গে চতুর্থবারের মত আলোচনায় বসতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
চলতি মাসের ২২ ও ২৩ তারিখে ঢাকায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার জয়েন্ট ট্রেড কমিশন (জেটিসি) এর চর্তুথ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
চতুর্থ জেটিসি বৈঠকের প্রস্তুতি হিসেবে গত ২২ আগস্ট বাণিজ্যসচিব গোলাম হোসেনের সভাপতিত্বে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে জেটিসির চতুর্থ বৈঠকের আলোচ্য বিষয়বস্তু ঠিক করা হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে বাণিজ্যসচিব গোলাম হোসেন ও মিয়ানমারের পক্ষে বাণিজ্যসচিব আং তুন নেতৃত্ব দেবেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, জেটিসির আসন্ন বৈঠকে বাংলাদেশ পক্ষ মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন বন্দর ব্যবহার করার বিষয়টিতে জোর দেবে। বন্দরটি ব্যবহার করা গেলে চীন, থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। সেই সঙ্গে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশ তার বাণিজ্য ব্যাপকভিত্তিক করতে পারবে। কমে আসবে পণ্য পরিবহনের খরচ।
উল্লেখ্য, এ মুহূর্তে বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের বাণিজ্য মূলত: সীমান্ত এলাকাতেই সীমাবদ্ধ।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ইয়াঙ্গুন বন্দর ব্যবহারের সুযোগ চেয়ে মিয়ানমারকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে জেটিসির ৩য় সভায়। ট্রান্সপোর্ট মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়ে পরে এ বিষয়ে বাংলাদেশকে অবহিত করা হবে বলে তখন মিয়ানমারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কিছুই জানানো হয়নি।
টেকনাফ থেকে মংডু পর্যন্ত মিয়ানমারের সঙ্গে সীমিত পর্যায়ে বাংলাদেশের সীমান্তবাণিজ্য চালু আছে। জেটিসির আসন্ন চতুর্থ বৈঠকে চট্টগ্রাম-সিটুওয়ে পর্যন্ত সীমান্তবাণিজ্য প্রসারের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেওয়া হবে। এর আগে জেটিসির তৃতীয় বৈঠকেও এ বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়েছিল। তখন মিয়ানমারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) চূড়ান্ত করার পর বিষয়টি বিবেচনা করা যাবে।
এছাড়াও জেটিসির আসন্ন বৈঠকে অন্য যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে তা হল মায়ানমারের সিটুওয়ে পর্যন্ত সীমান্ত বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও লেনদেন ত্বরান্বিত করতে মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে সোনালী ব্যাংকের স্বাক্ষরিত আগের সমঝোতা স্মারকটির সংশোধন, কান্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে খাদ্য আমদানি, মৎস্য খাতে সহযোগিতা, বিজনেস ভিসা ও বর্ডার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি।
যোগাযোগের চেষ্টা করেও এ বিষয়ে বাণিজ্যসচিব গোলাম হোসেনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় : ২০৪৬, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১০।