সিলেট: ছোট্ট শিশু নাজিফা আব্বু-আম্মুর সঙ্গে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছে। আব্বু তাকে কিনে দিয়েছে লাল টুকটুকে জামা।
শুধু বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী তরী বা ছোট শিশু নাজিফা নয়, সবাই ছুটছে মার্কেট থেকে মার্কেটে, দোকান থেকে দোকানে দ্রুত ঈদের পছন্দের কেনাকাটা শেষ করতে। আর এভাবে ছুটা-ছুটি করতে করতে কখন যে মধ্যরাত হয়ে যায়, ক্রেতারা যেন তা টেরই পান না। আর তাই মধ্যরাতের পরও সরগরম থাকছে সিলেটের বিপণী বিতানগুলো।
সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর প্রাণকেন্দ্র জিন্দাবাজারস্থ আল হামরা শপিং সিটি, সিলেট সিটি সেন্টার, ব্লুওয়াটার শপিং সিটি, শুকরিয়া মার্কেট, সিলেট প্লাজা, উপশহরের গার্ডেন টাওয়ার ইত্যাদি বিপণী বিতানগুলোতে ভিড় করছেন উচ্চ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ক্রেতারা। স্বল্প মূল্যে ভালো পণ্যের জন্য মধুবন ও হাসান মার্কেটেও ছুটছেন অনেকে।
উচ্চ বিত্তের ক্রেতারা ভিড় করছেন মাহা, শী, আড়ংসহ বিভিন্ন নামী-দামী ব্র্যান্ডের কাপড়ের দোকানগুলোতে।
এছাড়া ফুটপাতগুলোতেও কম দামে ভাল পণ্য সামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে। তাই নি¤œআয়ের ক্রেতারা স্বাচ্ছন্দেই কেনাকাটা করছেন ফুটপাতের দোকানগুলোতে।
ক্রেতাদের মন আকৃষ্ট করতে বিপণী বিতানগুলো সাজানো হয়েছে নানা সাজে। করা হয়েছে আলোকজ্জা। এছাড়া অতিরিক্ত ক্রেতা আকৃষ্ট করতে মার্কেটগুলো ব্যবস্থা রেখেছে র্যাফেল ড্র’র। দোকানের সামনে সাজিয়ে রাখা হয়েছে র্যাফেল ড্রয়ের গাড়ি, মোটর সাইকেলসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরুষ্কার।
সুনামগঞ্জ থেকে সিলেটে ঈদের কেনা-কাটা করতে আসা পাথর ব্যবসায়ী দিলোয়ার হোসেন সুমন বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, বাজারে অনেক ভালো পণ্য এসেছে । তবে দাম বেশী থাকায় অনেকেই পছন্দের পণ্যটি কিনতে পারছে না। একই অভিযোগ মৌলভী বাজার থেকে আসা ফারজানা নীলুর।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১০