ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

সিরাজগঞ্জে ৭.৬ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ শুরু

স্বপন চন্দ্র দাস, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৯
সিরাজগঞ্জে ৭.৬ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ শুরু

সিরাজগঞ্জ: প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত ২০২১ সালের মধ্যে সারাদেশে উৎপাদিত বিদ্যুতের ১০ শতাংশ প্রাকৃতিক উৎস থেকে আহরণের অংশ হিসেবে সিরাজগঞ্জে স্থাপন হচ্ছে ৭.৬ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প (সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট)। বঙ্গবন্ধু সেতুর দক্ষিণে যমুনা নদীর অববাহিকায় ‘সিরাজগঞ্জ ৭.৬ সোলার (ফটো ভোল্টাইড) পিভি গ্রিড কানেক্টেড পাওয়ার প্ল্যান্ট’ নামে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে প্রকল্প পরিচালক মোহায়মেনুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতুর দক্ষিণে সয়দাবাদ ইউনিয়নের বড়শিমুল ও পঞ্চসোনা মৌজায় ২২.৭৮ একর জমির উপর ১০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে ইপিসিভুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চীনের জংনান ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন লিমিটেড প্রকল্পের কাজ পেয়েছে।

২০১৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে মাটি ভরাটসহ ল্যান্ড ডেভেলপমেন্টের কাজের জন্য সিরাজগঞ্জের রিজভী কনস্ট্রাকশনকে সাব-ঠিকাদার নিয়োগ করেছে তারা। গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে রিজভী কনস্ট্রাকশন মাটি ভরাট ও ব্লক সরানোর কাজ শুরু করেছে। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত।  

তিনি আরও বলেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়নে নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটিডের নিজস্ব ৩.৭৫ একর জমির পাশেই বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ ১২.৪৩ একর ও জেলা প্রশাসক ৬.৬০ একর বন্দোবস্ত দিয়েছেন।

নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেডের প্রধান প্রকৌশলী (প্লান্ট ম্যানেজার) হারুনর রশিদ বলেন, ২০১২ সালের অক্টোবরে ১৫০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্থাপন করে নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড। পরবর্তীতে সেটি ২২৫ মেগাওয়াটে উন্নীত করা হয়। ২০১৮ সালে ২২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দ্বিতীয় ও তৃতীয় এবং ৪১৪ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন চতুর্থ ইউনিট স্থাপন করা হয়। বর্তমানে সব মিলিয়ে এ কেন্দ্রটি থেকে ১০৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব। চাহিদা অনুযায়ী পরিমাণ মত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশেই নিজস্ব অর্থায়নে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এজন্য কোম্পানির পক্ষ থেকে একজন প্রকল্প পরিচালক নিযুক্ত করা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।