ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি হচ্ছে বসুন্ধরার জাহাজ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯
সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি হচ্ছে বসুন্ধরার জাহাজ বাইমক্স ২০১৯-এ বসুন্ধরার স্টল। ছবি: জি এম মুজিবুর

ঢাকা: এখন দেশেই তৈরি হচ্ছে ক্রুড অয়েল ট্যাংকার জাহাজ। দেশে জাহাজ নির্মাণের পথিকৃত বসুন্ধরা স্টিল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডই (বিএসইএল) প্রথম এ ধরনের জাহাজ নির্মাণ করছে। নিজেরা এ ধরনের জাহাজ তৈরি করা একসময় শুধুই স্বপ্ন ছিল, কিন্তু বসুন্ধরা গ্রুপ সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছে। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি আর শতভাগ মান ঠিক রেখে জাহাজ তৈরি করে সুনাম কুড়াচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। 

জাহাজ নির্মাণ শিল্পের এই আদ্যপান্ত তুলে ধরতে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) চার নম্বর হলে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল মেরিন অ্যান্ড অফশোর এক্সপোতে (বাইমক্স-২০১৯) অংশ নিয়েছে অয়েল ট্যাংকার, কার্গো ভেসেল, ড্রেজিং ও শিপ মেইনটেন্যান্সের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা ইনফ্রাসট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড, বসুন্ধরা শিপিং লিমিটেড ও বসুন্ধরা স্টিল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড।

মেলার ১০৭ ও ১০৮ নম্বর স্টলে জাহাজ নির্মাণ শিল্প, মেরিটাইম ইঞ্জিনিয়ারিং, অফশোর ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি, শিপ ব্রেকিং ইক্যুইপমেন্ট এবং বন্দর সম্পর্কিত পণ্য ও প্রযুক্তি প্রদর্শিত হচ্ছে।

দেশি-বিদেশি শিল্প উদ্যোক্তারাও ভিড় করছেন স্টলে।

বসুন্ধরার স্টল ঘুরে দেখছেন দর্শনার্থীরা।                                          ছবি: জি এম মুজিবুর

পরিবেশ সম্মত আধুনিক শিপইয়ার্ডে তিনটি ধাপে নিশ্চিত করা হয় বসুন্ধরার তৈরি জাহাজের মান। প্রথম ধাপ কন্ট্রাক্টর কোয়ালিটি তথা মান নিশ্চিত করে। দ্বিতীয় ধাপে বিএসইএলের কোয়ালিটি কন্ট্রোল টিম সেটার মান পরীক্ষা করে নিশ্চিত করে। তৃতীয় ধাপে ব্যুরো ভ্যারাইটিজ ক্লাসিফিকেশন সোসাইটির অধীনে একটি টিম চূড়ান্তভাবে সেটা নিশ্চিত করে।  

কর্মকর্তারা জানান, বিএসইএল বর্তমানে আটটি জাহাজ তৈরি করছে। এগুলো তৈরির অর্ডার দিয়েছে বিওজিসিএল। এছাড়া আরও ১১টি জাহাজ তৈরির প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৪৮০০ ডিডব্লিউটি আটটি বাল্ক ক্যারিয়ার ও তিনটি ৩০০০ ডিডব্লিউটি বাল্ক ক্যারিয়ার তৈরি করা হচ্ছে। রিনা ক্লাসিফিকেশন সোসাইটির অধীনে এই ১১টি জাহাজ নির্মাণের কাজ চলছে।  

জানা গেছে, বসুন্ধরার জাহাজ তৈরির ম্যাটেরিয়ালস, মেশিনারি ইক্যুইপমেন্টগুলো বিদেশ থেকে ম্যানুফ্যাকচারিং ও প্রোডাক্ট সার্টিফিকেটসহ আমদানি করা হয়। জাহাজ তৈরির লজিস্টিক সাপোর্ট (ক্রেন, ফ্রকলিফট, সিএনসি মেশিন) বিদেশ থেকে আনা হয়।  

বসুন্ধরার স্টল ঘুরে দেখছেন দর্শনার্থীরা।  ছবি: জি এম মুজিবুর

বসুন্ধরা স্টিল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের শিপ বিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ার মো. জিয়াউল হক বাংলানিউজকে বলেন, এ দেশের শিপিং শিল্পে নবদিগন্তের সূচনা করেছে বসুন্ধরা গ্রুপ। বসুন্ধরা কখনো কোয়ালিটিতে আপস করে না। সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়েই তৈরি হচ্ছে বসুন্ধরার জাহাজ।

এছাড়াও আকিজ গ্রুপ, ওরিয়ন গ্রুপ, করিম গ্রুপ ও নওয়াপাড়া গ্রুপের জাহাজ মেইনটেন্যান্স করছে বসুন্ধরা শিপিং লিমিটেড। বসুন্ধরা ইনফ্রাসট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড (বিআইডিএল) দেশের ড্রেজিং শিল্পের অন্যতম পথিকৃৎ। বর্তমানে কিশোরগঞ্জের ব্রহ্মপুত্র, টাঙ্গাইলের ধলেশ্বরী, কিশোরগঞ্জের ভৈরব, নরসিংদীর আড়িয়াল খাঁ, নেত্রকোনার কংস, দোহারের পদ্মা নদ-নদীগুলোর ড্রেজিংয়ের কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।

দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত এই প্রদর্শনীতে ১৪টি দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মোট ১৬০টিরও বেশি স্টলে তাদের পণ্য-প্রযুক্তি প্রদর্শন করছে। প্রদর্শনী চলবে আগামী ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯
টিএম/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।