ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

১৬তম জাতীয় ফার্নিচার মেলার উদ্বোধন 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯
১৬তম জাতীয় ফার্নিচার মেলার উদ্বোধন 

ঢাকা: রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) পাঁচ দিনব্যাপী ১৬তম জাতীয় ফার্নিচার মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে মেলার উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।  

বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতির চেয়ারম্যান সেলিম এইচ রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, বাংলাদেশ ফার্নিচার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান কে এম আক্তারুজ্জামান, বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতির মহাসচিব মো. ইলিয়াস সরকার ও সাংগঠনিক সম্পাদক এ করিম মজুমদার।

 

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান-১ শেখ আব্দুল আউয়াল।  

শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, এখন ফার্নিচার রপ্তানি করে বছরে ৭শ’ কোটি টাকা আয় হচ্ছে। যারা এত কষ্ট করে ফার্নিচার শিল্পকে এ পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন, তাদের ধন্যবাদ।  

তিনি বলেন, বন্ডেড ওয়্যার হাউজের জন্য অবশ্যই সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। এখন যে পর্যায়ে বাংলাদেশ এসেছে, বন্ডেড ওয়্যার হাউজে যাওয়ার আগে প্রোডাকশন খরচ কমানো যায় কী না, সেটা ভেবে দেখা দরকার।  বক্তব্য রাখছেন এফবিসিসিআই’র সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।  ছবি: ডিএইচ বাদল এফবিসিসিআই’র সভাপতি বলেন, বর্তমান সরকার ব্যবসাবান্ধব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও ইউরোপীয় বাজারে ফার্নিচার রপ্তানি করার সময় এসেছে।  

আবু হেনা মোরশেদ জামান বলেন, বাংলাদেশের ফার্নিচার মেলা দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে একটা জায়গায় চলে এসেছে। যে দাবি আছে আপনাদের, আমি সরকারের কাছে পৌঁছে দেবো। ২০১৪-১৫ সালে ফার্নিচার রপ্তানি হয়েছে ৪০ মিলিয়ন ডলার। আর ২০১৮-১৯ সালে সেটা দাঁড়িয়েছে ৭৫ মিলিয়ন ডলারে।  

তিনি বলেন, রপ্তানি অবশ্যই বাড়াতে হবে। সেইসঙ্গে স্থানীয় বাজারে উপস্থিতিও বাড়াতে হবে।   

মো. ইলিয়াস সরকার বলেন, ফার্নিচারের গুণগতমান পরিবর্তন হয়েছে। বিশ্বমানের পণ্য তৈরি হচ্ছে। এটা রপ্তানির উপযোগী। কোয়ালিটি ও প্রাইড এ দু’টো জায়গায় আপস করা যাবে না। আপস করলে বাজারে টিকা যাবে না।  

কে এম আক্তারুজ্জামান বলেন, আমরা ১৮ বছর ধরে মেলার আয়োজন করছি। কিন্তু মাঝখানে দু’বছর দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে করা যায়নি। এ শিল্প একটি মৌলিক পণ্য। ফার্নিচারে এখন ২৫ হাজার কোটি টাকার মার্কেট। বিদেশে ৭শ’ হাজার কোটি টাকার মার্কেট। এ বিশাল মার্কেট ধরতে হলে কোয়ালিটি অবশ্যই ধরে রাখতে হবে।  

তিনি বলেন, সরকার বন্ডেড নীতিমালায় পরিবর্তন আনলে রপ্তানি বাড়বে।  ফার্নিচার মেলা।  ছবি: ডিএইচ বাদলমেলায় দেশের নামকরা সব ফার্নিচার ব্র্যান্ড অংশগ্রহণ করেছে। মানসম্পন্ন ঘর সাজানোর পণ্য কিনতে দর্শনার্থীরা চলে যেতে পারেন ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায়। সিটির গুলনকশা ও রাজদর্শন হলে পাঁচ দিনব্যাপী এ মেলা চলবে। মেলায় বিভিন্ন ফার্নিচার ব্র্যান্ড ২০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্য ছাড় দিচ্ছে।  

বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতি এ মেলার আয়োজনে ও ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি সেন্টারের ব্যবস্থাপনায় পাঁচ দিনব্যাপী এ মেলা চলবে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মেলায় কোনো প্রবেশ মূল্য দিতে হবে না দর্শনার্থীদের।  

মেলা উপলক্ষে ১৮ সেপ্টেম্বর (বুধবার) ৬-১২ বছর বয়সী শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।  

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে হলে বুধবার দুপুর ২টার মধ্যে আইসিসিবির রাজদর্শন হলে এসে নিবন্ধন করতে হবে।  

মেলায় মিডিয়া পার্টনার হিসেবে রয়েছে শীর্ষস্থানীয় দৈনিক কালের কণ্ঠ।  

অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে আসতে পারেননি।  

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৯
টিএম/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।