ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

বিক্ষোভ সমাবেশ করল দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরির শ্রমিকরা

শেখ হেদায়েতুলালাহ, জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৪, ২০১০
বিক্ষোভ সমাবেশ করল দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরির শ্রমিকরা

খুলনা: অব্যাহতি প্রত্যাহার, বকেয়া মজুরি পরিশোধ এবং অবিলম্বে ফ্যাক্টরি চালুর দাবিতে খুলনার দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরির শ্রমিকরা শনিবার বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।

সকাল ১০ টায় শুরু হওয়া এ বিক্ষোভ সমাবেশ শেষ হয় দুপুর ১২টায়।

সভায় শ্রমিকদের অব্যাহতি প্রত্যাহার, বকেয়া মজুরি পরিশোধ ও পুনরায় মিল চালুর দাবি জানায় শ্রমিক নেতারা।

দাবি মানা না হলে আগামী কাল আরও কঠোর কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়।

শ্রমিক নেতা দিলখোশ মিয়ার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এইচএম শাহাদাত, সৈয়দ শামসুর রহমান, শাজাহান জাহাঙ্গীর, ইকবাল হোসেন মন্জুরুল হোসেন, মো. দুলাল কবীর আহমেদ, ইলিয়াস হোসেন প্রমুখ নেতা।

তবে তাদের দাবি কতটুকু পূরণ হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ এ নিয়ে মালিক পক্ষ থেকে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

ফ্যাক্টরির জেনারেল ম্যানেজার মাহবুবুল হোসেন বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডি কে বলেন, ‘শ্রমিকদের পাওনা মিটিয়ে দেওয়ার বিষয়ে এখন পর্যন্ত মালিক প কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। ’

মালিক প থেকে অর্থ দেওয়া হলেই  শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করা হবে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ফ্যাক্টরিতে স্থায়ী শ্রমিক সংখ্যা ৭ শতাধিক। এর মধ্যে স্থায়ী ৫ শ’ ও দৈনিক মজুরিভিত্তিক শ্রমিক ২ শ’ ৫০ জন।

১৯৮৪ সালে ফ্যাক্টরিকে এক সুইডিশ কোম্পানির কাছে ইজারা দেয় সরকার। পরে ১৯৯৩ সালে ভাইয়া গ্র“পের কাছে ইজারা হস্তান্তর করে তারা।

এরপর গত ১৮ আগস্ট অব্যাহত লোকসানের কারণ দেখিয়ে সব শ্রমিককে অব্যাহতি দিয়ে ফ্যাক্টরিটি বন্ধ করে দেয় মালিক পক্ষ।

ফ্যাক্টরির শ্রমিক সিবিএ নেতা এইচএম শাহাদাত বলেন, ‘গত ১০ মাস ধরে শ্রমিকরা বেতন ভাতা পায় না। এতে ফ্যাক্টরির কাছে শ্রমিকদের পাওনা প্রায় ৫ কোটি টাকা। কিন্তু পাওনা না মিটিয়ে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করে শ্রমিকদের টারমিনেশন করা হয়েছে। যা বিধিবর্হিভূত। ’

মজুরি না পেয়ে শ্রমিকরা যেখানে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে সেখানে মিল বন্ধ করে দেওয়া অমানবিক বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।