ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শেয়ারবাজার

আস্থার সংকটে বিনিয়োগকারীরা, সূচকের ব্যাপক পতন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৯
আস্থার সংকটে বিনিয়োগকারীরা, সূচকের ব্যাপক পতন

ঢাকা: আস্থা ও তারল্য সংকটের কারণে ক্রান্তিকাল পার করছে দেশের পুঁজিবাজার। একাধিক সংস্কারের পরেও  বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরছে না বাজারের প্রতি। পুঁজি হারানো বিনিয়োগকারীরা শেষ সম্বল টুকু নিয়ে বাজার ছাড়ছেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে, বুধবারও  (১১ সেপ্টেম্বর) শেয়ার বাজারের সূচকের ব্যাপক পতন হয়েছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ৭৬ পয়েন্ট এবং সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৩৫ কমেছে।

ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সরকারি শেয়ার পুঁজিবাজারে না আসা এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বাজারে নীরব ভূমিকার কারণে সূচকের পতন অব্যাহত রয়েছে বলে মনে করেন ডিএসইর পরিচালক রকিবুর রহমান। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে প্রচুর তারল্য সংকট দেখা দিয়েছে। শত চেষ্টা করেও সরকারি কোম্পানির কোনো শেয়ার বাজারে আনা যাচ্ছে না। এছাড়া বাজারে ডেইলি ট্রেডারের সংখ্যা বেশি। বিনিয়োগকারী নেই বললেই চলে। বিশেষ করে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বাজারে কোনো ভূমিকা নেই। যে কারণে সূচক পতন অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি মনে করেন।  

বাজারে কোনো মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি আসছে না, সেকারণে বিদেশি বিনিয়োগকারীদেরও বাজার থেকে আস্থা হারিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি মনে করেন।

তাই বাজারকে স্থিতিশীল রাখতে ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ এবং সরকারি শেয়ার বাজারে নিয়ে আসতে হবে। এতে করে ধীরে ধীরে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরবে বলেও তিনি জানান।

অপরদিকে, বুধবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭৬ট পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯৩৩ পয়েন্টে। ডিএসইর এ সূচকটি ২ বছর ৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০১৬ সালের ২১ ডিসেম্বর ডিএসইএক্স সূচক আজকের থেকে কম স্থানে অবস্থান করছিল। ওই দিন ডিএসইএক্স সূচক ছিল ৪ হাজার ৯২৪ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৪ পয়েন্ট ও ডিএসই-৩০ সূচক ২২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১৫৫ ও ১৭৩৬ পয়েন্টে।

ডিএসইতে বুধবার ৫০২ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিনের চেয়ে ৯৫ কোটি টাকা বেশি। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪০৭ কোটি টাকার।

ডিএসইতে আজ ৩৫৩টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৭টির শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে, কমেছে ২৮৮টির এবং ২৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

টাকার অংকে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া ১০ কোম্পানি হলো- ন্যাশনাল টিউবস, জেএমআই সিরিঞ্জ, বিকন ফার্মা, মুন্নু সিরামিক, স্টাইলক্র্যাফট, মুন্নু জুট স্টাফলার্স, ভিএফএস থ্রেড ডাইং, ওয়াটা কেমিক্যাল, আইপিডিসি এবং স্কয়ার ফার্মা।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ২৩৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৯৯৩ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৬১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৩৬টির, কমেছে ২০৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭টির দর। আজ ১৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৯
এসএমএকে/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।