ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

দৌলতখানে রঙিন বেবি তরমুজের সমারোহ

ছোটন সাহা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৯
দৌলতখানে রঙিন বেবি তরমুজের সমারোহ ক্ষেতজুড়ে রঙ্গিন বেবি তরমুজ। ছবি: বাংলানিউজ

ভোলা: রঙিন বেবি তরমুজ চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন ভোলার দৌলতখান উপজেলার সৌরভ চন্দ্র হাওলাদার নামে এক চাষি। তার বিস্তৃর্ণ ফসলের ক্ষেতজুড়ে রঙিন বেবি তরমুজের সমারোহ। ক্ষেত দেখে আগ্রহ বেড়েছে অন্য চাষিদেরও। তরমুজ চাষ করে চাষি সৌরভ যেন অন্য চাষিদের কাছে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। গ্রীষ্মকালে এ তরমুজ খেতে খুব সুস্বাদ। আর তাই তার ক্ষেতের তরমুজ দেখতে ও কিনতে বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন ছুটে আসছেন। একইসঙ্গে চাষাবাদের অভিজ্ঞতা জানতে আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে চাষিদের মধ্যে।

সূত্র জানায়, ভোলার দৌলতখান উপজেলার চরপাতা গ্রামের যুবক সৌরভ চন্দ্র হাওলাদার। তিনি অন্য ফসলের চাষবাদ করলেও এই প্রথম বেবি তরমুজ চাষবাদ শুরু করেন।

তার অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল তিনি বেবি তরমুজ চাষ করবেন। পরিত্যক্ত জমিতে বেবি তরমুজ চাষ শুরু করেন। এবার ৪ শতাংশ জমিতে বেবি তরমুজ চাষ করে বেশ সফলতা পেয়েছেন তিনি।  

খোঁজ নিয়ে জানা গেলো, অল্প খরচে বেরি জাতের তরমুজ চাষ করা যায়। মাত্র ৭০ দিনেই জমিতে ফলন বড় হতে শুরু করে। বাহারি রঙের তরমুজ দেখে সৌরভের মনে আনন্দ ভরে উঠে। এলাকার লোকজনও দেখতে ভিড় করে তার তরমুজক্ষেতে। ইতোমধ্যে একেকটি তরমুজের ওজন ২ থেকে আড়াই কেজি হয়ে উঠেছে। পাকতেও শুরু করেছে। পাঁচ শতাধিক তরমুজ ফলন হয়েছে সৌরভের ক্ষেতে। বাজারে বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৬০টাকা দামে।

তরমুজ হাতে চাষি সৌরভ চন্দ্র হাওলাদার।  ছবি: বাংলানিউজ

চাষি সৌরভ চন্দ্র বাংলানিউজকে বলেন, আগে অন্য ফলনের চাষ করি। কিন্তু এই প্রথম রঙিন বেবি তরমুজ লাগিয়েছি। সাধারণ দেশীয় জাতের তরমুজের চেয়ে বেবি জাতের তরমুজ কিছুটা ভিন্ন ধরনের। অল্প পরিশ্রমে বেশি লাভবান হওয়া যায়।

তিনি আরও বলেন, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের কৃষি ইউনিটের আওতায় গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার সহযোগিতায় বীজ ও প্রশিক্ষণ নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে গ্রীষ্মকালীন বেবি তরমুজ চাষ শুরু করি। এরপরেই সফলতা।  

এলাকার লোকজন ভিড় করছেন তরমুজক্ষেতে।  ছবি: বাংলানিউজ

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ দেবনাথ বাংলানিউজকে বলেন, বেবি তরমুজ চাষ অনেকটা লাভজনক। চাষিরা এটি ব্যাপকভাবে করতে পারলে আর্থিক সচ্ছলতা বাড়বে। কারণ এ তরমুজ ক্ষেতে পোকামাকড়ে আক্রমণ কম হয়। কিন্তু ফলন বেশি হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতির সম্ভাবনাও কম।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৯
এএটি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad