ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

কামালপুর স্থল বন্দরে কমিটি নিয়ে উত্তেজনা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০১৯
কামালপুর স্থল বন্দরে কমিটি নিয়ে উত্তেজনা

জামালপুর: দীর্ঘ চার বছর বন্ধ থাকার পর গত ১৭ আগস্ট আবার চালু হয়েছে জামালপুরের কামালপুর স্থলবন্দরটি। চালু হওয়ার পর এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি হলেও স্থানীয় আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতি গঠন ও এর নেতৃত্বে নিয়ে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

এর আগে, আব্দুল্লাহ আল মোকাদ্দেস রিপন সভাপতি ও কামালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান জোবায়ের হিটলার সাধারণ সম্পাদক থাকা সত্ত্বেও কামালপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও ফার্মাস ব্যাংক কেলেঙ্কারির মূলহোতা বাবুল চিশতির শ্যালক মোস্তুফা কামালকে সভাপতি ও গোলাম কিবরিয়া মুকুলকে সাধারণ সম্পাদক করে আরেকটি কমিটি করায় চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে বন্দরটি বন্ধ হয়ে যায়।

 

দীর্ঘ চার বছর বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি স্থল বন্দরটি চালু হওয়ার পর সেই পুরোনো দ্বন্দ্ব ও উত্তেজনা আবার সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার (০২ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত উভয় পক্ষই কামালপুর স্থল বন্দরের আলাদা আলাদা সভা সমাবেশ করেছে। এতে পুরো বন্দর এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

দুর্নীতির দায়ে বহুল আলোচিত ও কারাগারে থাকা বাবুল চিশতি জেলে যাওয়ার পর তার পরিবার ও কামালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তুফা কামাল এক কোণঠাসা হয়ে পড়লেও এবার সামনে এসেছেন গোলাম কিবরিয়া মুকুল। তিনি একটি পক্ষের নেতৃত্বে দিচ্ছেন।

অপরদিকে, অন্য পক্ষের নেতৃত্বে দিচ্ছেন বর্তমান কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মোকাদ্দেস রিপন ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান জোবায়ের হিটলার।

দুইপক্ষ মুখামুখি অবস্থানের কারণে যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের আশঙ্কা করেছে স্থানীয় শ্রমিকরা।

কামালপুর স্থল বন্দরের শ্রমিক হাসমত আলী বাংলানিউজকে জানান, দীর্ঘদিন পর বন্দরটি চালু হয়েছে। দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে আবারও বন্দরটি বন্ধ হয়ে যাবে। বন্দরটি বন্ধ হলেও আমরা অনাহারে থাকি।

অপর, শ্রমিক ইসমাইল বলেন, বন্দর চালু হওয়ায় আমরা ছেলে-মেয়ে নিয়ে পরিশ্রম করে তিন বেলা খেতে পারি। কিন্তু দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে কোনদিন জানি বন্ধ হয়ে যায়।

বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাসান জোবায়ের হিটলার বলেন, কামালপুর আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতি একটি স্বতন্ত্র ব্যাবসায়ীক সমিতি। এই কমিটি কারও দ্বারা অনুমোদনের প্রয়োজন হয় না। যেখানে ব্যবসায়ীরা বেশি থাকবে সেটিই কার্যকর হবে। তারপরেও আমরা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সঙ্গে আমাদের ওপর দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করেছি। যদি ব্যবসায়ীরা আমাদের পছন্দ না করে তবে সব ভোটাধিকারের মাধ্যমে যোগ্য নেতৃত্বে বেছে নিবে।  

অপরপক্ষের সভাপতি দাবিদার গোলাম কিবরিয়া মুকুল বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের কমিটি বৈধ, আর ওদের কমিটি অবৈধ। আমাদের কমিটিতে স্থানীয় এমপির সুপারিশ রয়েছে কিন্তু ওদের কমিটি নিজেরাই করেছে। সে কারণে ওটার কোনো বৈধতা নেই। তবে কমিটির সভাপতি মোস্তুফা কামালের পারিবারিক সমস্যার কারণে তিনি এই কমিটির সভাপতি পদে থাকতে অপরাগতা প্রকাশ করেছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৯
এনটি   

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।