ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শেয়ারবাজার

আস্থা সংকটে পুঁজিবাজার, সূচকের টানা পতন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০১৯
আস্থা সংকটে পুঁজিবাজার, সূচকের টানা পতন

ঢাকা: আস্থা ও তারল্য সংকটের কারণে পুঁজিবাজারে সূচকের পতন অব্যাহত রয়েছে। টানা তিন কার্যদিবসে দেশের প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ১০৮ পয়েন্ট ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ২৮৯ পয়েন্ট।

ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চরম আস্থা ও তারল্য সংকটের কারণে সূচকের পতন অব্যাহত রয়েছে।

ভালো শেয়ারের অভাব, স্পন্সরদের শেয়ার বিক্রির অর্থ নিয়ে বাজার থেকে বের হয়ে যাওয়ার কারণে এমনটি হচ্ছে বলে মনে করেন তারা।

এব্যাপারে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবু আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, পুঁজিবাজারে আস্থা ও তারল্য সংকট বিরাজ করছে। বাজার থেকে টাকা বের হয়ে যাওয়ার কারণে এমনটি হচ্ছে। বাজারে স্পন্সররা শেয়ার বিক্রি করে টাকা নিয়ে বের হয়ে গেছেন। এতে করে বাজারে তারল্য সংকট দেখা দিয়েছে। এছাড়া ভালো কোম্পানির শেয়ার না থাকায় বিনিয়োগকারীরা বাজারের প্রতি আস্থা রাখতে পারছেন না বলে তিনি মনে করেন। বাজারকে ভালো করতে হলে ভালো কোম্পানিকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে বলেও মত তার।

তবে তারল্যের চেয়ে আস্থা সংকট বাজারে তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ পুঁজিবাজার সম্মিলিত বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি আতাউল্লাহ নাইম। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বাজার পতনের মূল কারণ হচ্ছে আস্থা সংকট। কারো প্রতি আস্থা রাখতে পারছেন না বিনিয়োগকারীরা। বাজারে যারা দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ করেছেন তাদেরও প্রায় চল্লিশ শতাংশ মূলধন নাই হয়ে গেছে। এতে করে আস্থার সংকট তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী সরাসরি নির্দেশনা দিয়ে একটি কমিটি করে কার্যকরী পদক্ষেপের মাধ্যমে বাজারে আস্থা ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলেও তিনি জানান।

এদিকে রোববারও (০১ সেপ্টেম্বর) পতনে শেষ হয়েছে দেশের উভয় পুঁজিবাজারের লেনদেন।  

জানা গেছে, এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৭০ পয়েন্টে। ডিএসইতে অপর দুই সূচকের মধ্যে শরিয়া সূচক ৫ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১৭৮ ও ১৭৯১ পয়েন্টে।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৫১টি কোম্পানির মধ্যে ৯৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে ২১০টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৮টি কোম্পানির শেয়ার দর।

এদিন ডিএসইতে ৩৩২ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন থেকে ৭০ কোটি টাকা কম। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪০২ কোটি টাকার।

টাকার অংকে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠান হলো-মুন্নু সিরামিক, ওয়াটা কেমিক্যাল, মুন্নু জুট স্টাফলার্স, জেএমআই সিরিঞ্জ, ন্যাশনাল পলিমার, ডরিন পাওয়ার, লিনডে বিডি, বিকন ফার্মা, ইউনাইটেড পাওয়ার এবং ন্যাশনাল টিউবস।

অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ৮০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৫০১ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৩০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৫৫টির, কমেছে ১৩৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টির দর।

এদিন সিএসইতে ১৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৯
এসএমএকে/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।