ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

বিশ্বের ৮৫ শতাংশ ইলিশ উৎপাদন হয় বাংলাদেশে: খসরু

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৯
বিশ্বের ৮৫ শতাংশ ইলিশ উৎপাদন হয় বাংলাদেশে: খসরু বক্তব্য দিচ্ছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু, ছবি: বাংলানিউজ

নেত্রকোণা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু বলেছেন, বিশ্বে যে পরিমাণ ইলিশ উৎপাদন হয়, তার ৮৫ শতাংশই বাংলাদেশের। বাকি ১৫ শতাংশ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, মিয়ানমারসহ অন্যান্য দেশে উৎপন্ন হয়।

শনিবার (২০ জুলাই) সন্ধ্যায় নেত্রকোণা শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন করে প্রতিমন্ত্রী খসরু এ কথা বলেন।

এই প্রথম জেলা পর্যায়ে একমাত্র নেত্রকোণায় মৎস্য সপ্তাহ প্রযুক্তি মেলা শুরু হয়েছে।

বুধবার (২৪ জুলাই) এই মেলা শেষ হবে।

মেলার উদ্বোধনীতে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জেলেদের সরকারি সহযোগিতা দিয়ে প্রজনন সময় থেকে বেড়ে ওঠার সময় পর্যন্ত ইলিশ ধরা বন্ধ রাখায় বেড়েছে এই মাছ উৎপাদনের পরিমাণ। আশ্বিন মাসের চাঁদের রাতে ইলিশের প্রজননের মূল সময়। তবে এছাড়াও প্রজনন সময় আছে। একটি ইলিশ এক সঙ্গে ৪০ লাখ ডিম ছাড়ে বলে উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, প্রজনন থেকে বেড়ে ওঠার সময়গুলোতে মাছ ধরা বন্ধ রাখতে পারায় দেশে ইলিশ উৎপাদনের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে। আগে যেখানে হতো আড়াই লাখ টন, এখন তা সাড়ে পাঁচ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে। প্রযুক্তি ও গবেষণার ফলেও দেশ মৎস্য উৎপাদনে হয়ে উঠছে স্বয়ংসম্পূর্ণ।

স্থানীয় জনগণসহ প্রশাসনকে কারেন্ট আর মশারি জালের বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেন প্রতিমন্ত্রী। যেখানে এসব জাল চোখে পড়বে, তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সংশ্লিষ্টদের শাস্তি দিতে বলেন তিনি।

এসব জালের জন্য মাছশূন্য হয়ে পড়ছিল দেশ। পদ্মা, মেঘনা, যমুনাসহ বড় বড় নদী ছেড়েও মাছ সাগরের মোহনায় চলে যাচ্ছিল বলে মন্তব্য করেন খসরু।

প্রতিমন্ত্রী এও বলেন, যেখান থেকে দেশীয় নানা প্রজাতির মাছ উৎপাদন হয়, সেখানে তো কিছু করতে হবে। সেক্ষেত্রে নেত্রকোণার হাওরাঞ্চলে শত কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে তোলা হবে একটি মৎস্য গবেষণাগার। পরিকল্পনা আছে, দ্রুত তা বাস্তবায়ন হবে।

গবেষণাগারটি হলে হারিয়ে যাওয়া বা বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া দেশীয় প্রজাতির মাছগুলো দেশবাসী পুনরায় ফিরে পাবে বলেও জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী খসরু।

নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হাবিবা রহমান খান শেফালী, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু সাইদ মো. রাশেদুল হক, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী, নেত্রকোণা সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক তফসির উদ্দিন খান, নেত্রকোণা পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম খান, জেলা মহিলা লীগের সভানেত্রী কামরুন্নেছা আশরাফ দিনা, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদের সদস্য গাজী মোজাম্মেল হোসেন টুকু প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ০৬৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৯
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad
welcome-ad