ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

শেয়ারবাজার

প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিনিয়োগকারীদের স্মারকলিপি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৯
প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিনিয়োগকারীদের স্মারকলিপি

ঢাকা: পুঁজিবাজারের দরপতন ঠেকানো ও কার্যকরি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে ১৫ দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তারা এই স্মারকলিপি জমা দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজানুর রশীদ চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দায়িত্বরত রুহুল আমিনের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছে।

বিনিয়োগকারীদের ১৫ দফা দাবিগুলো হচ্ছে-

১। ইস্যু মূল্যের নিচে অবস্থান করা শেয়ারগুলো নিজ নিজ কোম্পানিগুলোর পরিচালনা পর্ষদকে ইস্যু মূল্যে শেয়ার বাইব্যাক করতে হবে। সে সঙ্গে বাইব্যাক আইন পাশ করতে হবে।

২। দুই সিসি আইনের বাস্তবায়ন করতে যে সব কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ব্যক্তিগত ২ শতাংশ এবং সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার নেই, ওই সব উদ্যোক্তা, পরিচালক ও কোম্পানিগুলোকে শেয়ার ধারণ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

৩। প্লেসমেন্ট শেয়ারের অবৈধ বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে এবং প্লেসমেন্ট শেয়ারের লকইন পিরিয়ড পাঁচ বছর করতে হবে। পুঁজিবাজার স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের আইপিও ও রাইট শেয়ার অনুমোদন দেওয়া বন্ধ করতে হবে।

৪। খন্দকার ইব্রাহিম খালেদের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী শেয়ারবাজার কারসাজির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।

৫। জেড ক্যাটাগরি এবং ওটিসি মার্কেট বলতে কোনো মার্কেট থাকতে পারবে না। কারণ কোম্পানি আইনে কোথাও জেড ক্যাটাগরির ও ওটিসি মার্কেটের উল্লেখ নেই।

৬। পাবলিক ইস্যু রুলস ২০১৫ বাতিল করতে হবে।

৭। পুঁজিবাজারের প্রাণ মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোকে পুঁজিবাজারে সক্রিয় হতে বাধ্য করতে হবে এবং প্রত্যেক ফান্ডের নূন্যতম ৮০ শতাংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে হবে।

৮। সাধারণ বিনিয়োগকারী আইপিও কোটা ৮০ শতাংশ করতে হবে এবং তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে ১০ শতাংশ হারে লভ্যাংশ দিতে হবে।

৯। জানুয়ারি ২০১১ থেকে জুন ২০১৯ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মার্জিন লোনের সুদ সম্পূর্ণ মওকুফ করতে হবে।

১০। পুঁজিবাজারে অর্থের যোগান বাড়ানোর জন্য সহজশর্তে অর্থাৎ ৩ শতাংশ সুদে ১০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে। যা আইসিবি, বিভিন্ন মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকার হাউজের মাধ্যমে ৫ শতাংশ হারে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা লোন হিসেবে বিনিয়োগের সুযোগ পাবে।

১১। অপ্রদর্শিত অর্থ বিনা শর্তে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ দিতে হবে।

১২। জীবন বীমা খাতের বিপুল অলস ও সঞ্চিত অর্থের ৪০ শতাংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে বাধ্য করতে হবে।

১৩। জীবন বাঁচাতে এবং ন্যায্য দাবিতে আন্দোলনরত সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিরুদ্ধে সব ধরনের মামলা প্রত্যাহার ও পুলিশি হয়রানি বন্ধ করতে হবে।

১৪। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বিপরীতে বাংলাদেশ স্টক এক্সচেঞ্জ নামে বিকল্প স্টক এক্সচেঞ্জ করতে হবে। এর ফলে কারসাজি বন্ধ করা যাবে।

১৫। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যানসহ পুরো কমিশনারদের অপসারণ করে কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৯
এসএমএকে/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।