ঢাকা : অবশেষে আমন মৌসুমেও কৃষকের কাছ থেকে চাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার থেকে সারাদেশে আমন মৌসুমের চাল কেনা শুরু হচ্ছে।
সোমবার খাদ্যমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক সচিবালয়ের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এবারের চালের দাম প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ক্রয়মূল্য ২৪ টাকা ৮৭ পয়সা হিসেবে উৎপাদন মূল্য ধরে কৃষককে ৩ টাকা লাভ দিয়ে এ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, (সরকারি) খাদ্যগুদামে এখন শস্য পূর্ণ। তবুও কৃষকদের সুবিধা দেওয়ার জন্য আমন চাল কেনা হচ্ছে।
সেনাবাহিনী, পুলিশ, আনসার, ওএমএসসহ বিভিন্ন কাজে চাল সরবরাহ করার পর গুদামগুলোতে কিছু জায়গা খালি হবে যেখানে এসব চাল রাখা যাবে বলে জানান তিনি।
আগামী জুন মাস নাগাদ কোনো বিপর্যয় না ঘটলে দেশে আপাতত আর কোনো খাদ্য আমদানি করতে হবে না বলেও জানান খাদ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে সরকারের কাছে ১৪ লাখ ৪৩ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশষ্য মজুদ আছে। এর মধ্যে চাল রয়েছে ১১ লাখ ৫৩ হাজার টন এবং গম রয়েছে দুই লাখ ৯০ হাজার টন।
এছাড়া আমদানির প্রক্রিয়াতেও কিছু গম রয়েছে বলে জানান তিনি।
দেশের খাদ্য গুদামগুলোর ধারণ ক্ষমতা এখন ১৬ লাখ ৫০ হাজার টন। এর মধ্যে এ সরকারের মেয়াদেই এক লাখ ৫০ হাজার টন ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে।
আরো খাদ্যগুদাম তৈরির জন্য বিশ্বব্যাংক দুই হাজার ১০০ কোটি টাকা খাদ্য মন্ত্রণালয়কে দিচ্ছে। আগামী দু-আড়াই বছরের মধ্যে এ টাকা দিয়ে গুদাম নির্মিত হলে খাদ্য ধারণ ক্ষমতা আরও ৩ লাখ টন বাড়বে।
কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান না কিনে চাল কেনা বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, গুদামে ধান রাখার জন্য যতটুকু আর্দ্রতা থাকা দরকার সব কৃষকের ধানে ওই মাপে আর্দ্রতা থাকে না। এজন্য চাল কেনাই বেশি যুক্তিযুক্ত।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২২ নভেম্বর খাদ্য পরিধারণ কমিটির বৈঠকে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে আমন চাল কেনার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
এরই মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সরকারকে চাল কেনার আহ্বান জানিয়ে বলেন, কৃষকের কাছ থেকে চাল না কিনলে সড়ক অবরোধ করা হবে।
বাংলাদেশ সময় : ১৬৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১১