ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

বন্ড সুবিধায় আনা পণ্য বিক্রি হচ্ছে খোলা বাজারে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৮ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৯
বন্ড সুবিধায় আনা পণ্য বিক্রি হচ্ছে খোলা বাজারে

ঢাকা: দেশের মুদ্রণ প্রকাশনা ও প্যাকেজিং শিল্পর প্রধান কাঁচামাল হিসেবে বন্ড সুবিধার আওতায় আমদানি করা ডুপ্লেক্স বোর্ড, আর্ট পেপার, আর্ট কার্ড, সুইডিস বোর্ড, ফোল্ডিং বক্স বোর্ড এবং সেলফ অ্যাডহেসিভ পেপার খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এতে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। ক্ষতির মুখে পড়ছেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা।

শনিবার (২২ জুন) দুপুরে ঢাকায় ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে বাজেট পরবর্তী যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ছয়টি সংগঠন এ বক্তব্য তুলে ধরে।

সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ পেপার ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পেপার মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পাঠ্যপুস্তক মুদ্রক ও বিপণন সমিতি, চট্টগ্রাম কাগজ ও সেলোফিন ব্যবসায়ী গ্রুপ, মেট্রোপলিটন প্রেস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদশ পেপার ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম ভরসা।  

তিনি বলেন, বন্ড সুবিধার আওতায় আমদানির ক্ষেত্রে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু বাস্তবতা হলো আমদানিকৃত পণ্য খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে। যার ফলে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। এ খাতের ব্যবসায়ীরা অসুস্থ প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হচ্ছেন। আমদানিকৃত পণ্য ২০ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশ মুনাফা ধরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এতে অবৈধ ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছেন, অন্যদিকে সরকার বড় অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে। প্রকৃত ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।  

বন্ডের অবৈধ ব্যবহার বন্ধে এসময় কিছু পরামর্শ তুলে ধরে শফিকুল ইসলাম ভরসা বলেন, এতে বাজার স্থিতিশীল হবে, সরকারি রাজস্ব বাড়বে এবং এদেশের মুদ্রণ শিল্প বিকশিত হবে।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পাল্প তৈরির কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার হয় কাঠ ও বাঁশ ইত্যাদি। পেপার মিলের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয় পাল্প। মুদ্রণ শিল্পের প্রধান কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয় কাগজ, বোর্ড, আর্ট কার্ড, ছাপার কালি ও গ্লু ইত্যাদি। এমতাবস্থায় অন্যান্য দেশীয় শিল্পে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে যে হার বিদ্যমান আছে, মুদ্রণ শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে সেই হারে শুল্ক পরিশোধ পূর্বক কাগজ আমদানির সুযোগ দানের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির চেয়ারম্যান শহীদ সেরনিয়াবাত, বাংলাদেশ পেপার মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফজলুর রহমান, বাংলাদেশ পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ ও বিপণন সভাপতি তোফায়েল খান, চট্টগ্রাম কাগজ ও সেলোফিন ব্যবসায়ী গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মো. বেলাল এবং মেট্রোপলিটান প্রেস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন খান উজ্জ্বল প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৯
এসএমএকে/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।