ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

১২ হাজার মুরগির মৃত্যু, সচেতনতায় জেনারেটরের পরামর্শ

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৬ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৯
১২ হাজার মুরগির মৃত্যু, সচেতনতায় জেনারেটরের পরামর্শ মৃত ব্রয়লার মুরগি, ছবি: বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: টানা ৮ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় শ্রীমঙ্গলে একদিনে ১২ হাজারেরও বেশি ব্রয়লার মুরগির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এতে ক্ষতির মুখে পরেছেন পোল্ট্রি ফার্ম ব্যবসায়ীরা।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বৈদ্যুতিক খুঁটির জরুরি মেরামত কাজের জন্য সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।

জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শ্রীমঙ্গলে বিদ্যুৎ না থাকায় একদিনে পুরো উপজেলায় ১২ হাজারেরও বেশি ব্রয়লার মুরগির মৃত্যু হয়।

মঙ্গলবার রাতে খবরটি পুরো শহরে ছড়িয়ে পড়ে। একদিকে প্রচণ্ড তাপদাহ ও অন্যদিকে বিদ্যুৎ না থাকায় হিট স্ট্রোকে মুরগিগুলো মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা ব্যবসায়ীদের।

শ্রীমঙ্গল পোল্ট্রি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় হিট স্ট্রোকে আমার প্রায় ১২শ’ মুরগি মারা গেছে। শুনেছি পুরো উপজেলায় ১২ হাজারের বেশি মুরগি মারা গেছে। তবে এর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এতে আমাদের প্রায় ২৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

কয়েকজন পোল্ট্রি ব্যবসায়ী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি থেকে প্রতিটি খামারে বেশি বিলের শিল্প মিটার স্থাপন করে উচ্চ হারে বিল নিচ্ছে। এ ক্ষতির দায়ভার তাদেরও নিতে হবে। ব্রয়লার মুরগির বাজার দর এমনিতেই নিম্নমুখী। এ পরিস্থিতিতে মুরগি মারা যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা দেউলিয়া হয়ে যাবে।

এদিকে মঙ্গলবার রাতেই উপজেলার সিরাজনগর গ্রামে বিসমিল্লাহ পোল্ট্রি ফার্ম পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নজরুল ইসলাম। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ক্ষতিপ্রস্ত পোল্ট্রি ফার্ম ব্যবসায়ীদের কোনো সহযোগিতা করা যায় কি-না ব্যক্তিগতভাবে আমি চেষ্টা করবো। জীবাণুনাশক ছিটিয়ে মৃত সব মুরগিগুলোকে দ্রুত মাটিচাপা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।  

এ সময় তিনি পোল্ট্রি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে এ ব্যাপারে আবেদনের পরামর্শ দেন।

মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার শিবু লাল বসু বলেন, ওই বৈদ্যুতিক খুঁটিটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিলো। ওটা মেরামত না করা হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। তাদের ব্যবসা পরিচালনা এবং সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচতে জেনারেটর ব্যবহারের পরামর্শ দেবো।  

এ দিকে, মৃত মুরগিগুলো স্থানীয় হোটেলে বিক্রি করে দেওয়ার সম্ভব্য বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।

শ্রীমঙ্গল পোল্ট্রি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হাবিবুর রহমান বলেন, সমিতির সব সদস্যদের প্রতি আমাদের নির্দেশনা আছে যে, মৃত মুরগিগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে জীবাণুনাশক ছিটিয়ে মাটিচাপা দিতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৯
বিবিবি/এইচএডি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।