ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

বাজেট

দাম কমবে যেসব পণ্য ও সেবায়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৮ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৯
দাম কমবে যেসব পণ্য ও সেবায় গ্রাফিক্স ছবি

ঢাকা: ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে বেশকিছু পণ্যের ক্ষেত্রে মূল্য সংযোজন কর বা মূসক অব্যাহতির প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জাতীয় সংসদে চলতি অর্থবছরের বাজেট উত্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী। ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শীর্ষক এ বাজেটের আকার ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।


 
চলতি অর্থবছরে কতিপয় ক্ষেত্রে মূসক অব্যাহতি প্রদানের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
 
দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করে পাউরুটি ও বনরুটি, হাতে তৈরি তৈরি বিস্কুট ও কেক প্রতি কেজি ১৫০ টাকা মূল্যমান পর্যন্ত মূসক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
 
কৃষিখাতে প্রণোদনার জন্য কৃষি যন্ত্রপাতি যেমন- পাওয়ার রিপার, পাওয়ার টিলার অপারেটেড সিডার, কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার, লোলিস্ট পাম্প, রোটারি টিলারের ওপর স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে মূসক অব্যাহতি দেওয়া হয়।
 
নারী উদ্যোক্তা পরিচালিত ব্যবসায় শো-রুমের উপর মূসক অব্যাহতি।
 
বাংলাদেশ হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যোগানদার ও বিদ্যুৎ বিতরণকারী সেবার উপর মূসক অব্যাহতি।
 
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চলে (বেজা) বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক গ্যাস, যোগানদার ও বিদ্যুৎ বিতরণকারী সেবার উপর মূসক অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়েছে।
 
পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) প্রকল্পে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে নির্মাণ সংস্থা, কনসালটেন্সি ও সুপারভাইজরি ফার্ম, যোগানদার ও আইন পরামর্শক সেবার উপর মূসক অব্যাহতির প্রস্তাব।
 
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের ক্ষেত্রে ফরোয়ার্ডার্স, ক্লিয়ারিং ও ফরোয়ার্ডিং সংস্থা, বিমা কোম্পানি, যোগানদার ও ব্যাংকিং সেবার উপর মূসক অব্যাহতি।
 
ক্যানসারের ওষুধের উপর রেয়াদি সুবিধা ছাড়াও স্বল্পমূল্যে অসুস্থ গরিব রোগীদের কাছে মেডিক্যাল গ্যাস সহজলভ্য করতে এসব পণ্যে আরোপিত রেগুলেটরি ডিউটি ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
 
স্থানীয় লিফট, রেফ্রিজারেটর, কম্প্রেসার, এয়ার কন্ডিশনার, মোটর, মোল্ড ও পাদুকা শিল্পকে সুরক্ষার জন্য এ খাতে উপকরণ আমদানিতে শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
 
স্বর্ণ চোরাচালারন রোধে বাণিজ্যিকভাবে স্বর্ণবার আমদানির ক্ষেত্রে প্রতি ১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রামের বিদ্যমান শুল্ককর ৩ হাজার টাকা থেকে হ্রাস কমিয়ে ২ হাজার টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৯
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।