ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

উচ্চমূল্যের ফসলের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার: কৃষিমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৫ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৯
উচ্চমূল্যের ফসলের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার: কৃষিমন্ত্রী কাজুবাদাম উৎপাদনকারী, প্রক্রিয়াজাতকারী ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠক

ঢাকা: কৃষিকে লাভজনক করতে সরকার উচ্চমূল্যের ফসল আবাদের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, সরকার সব সময় কৃষকের লাভের বিষয়টি গুরুত্ব দেয়। এক্ষেত্রেও সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে।

বুধবার (১২ জুন) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে সঙ্গে কাজুবাদাম উৎপাদনকারী, প্রক্রিয়াজাতকারী ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠক করে তিনি একথা বলেন।  

এসময় সংগঠনের সভাপতি মো. হারুনের নেতৃত্বে আরও ছিলেন সংগঠনের সহ-সভাপতি শফিক উদ্দিন, কাজী শাহাদাত হোসেন, মো. মহিউদ্দিন, মো. কামাল উদ্দিন, সাইফুদ্দিন হাসান, এমডি মেঘা অ্যাগ্রো প্রোডা. শাহ সিরাজুর রহমান, রেজাউল করিম- সহযোগী অধ্যাপক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, নুরুল আফসার, মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, রুমা, থানচি ও মু, আব্দুস ছালাম সাধারণ সম্পাদক।

ভিয়েতনাম থেকে উচ্চ ফলনশীল জাতের চারা আমদানির ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনে কাজুবাদাম চারায় সরকার আর্থিক সহায়তা দেবে। আরো অধিক সংখ্যক খামারিকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে, সব উপযোগী পতিত জায়গায় এর চাষ করতে হবে।  

প্রক্রিয়াজাতসহ অন্য সমস্যা সমাধানে সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে জানান। প্রয়োজনে খামারিদের বিদেশে অভিজ্ঞতা অর্জন ও প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করা হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কাজুবাদামের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক ও ক্রেতা।  

কাজুবাদাম আবাদ মোটামুটি সহজ। এটি চাষের ক্ষেত্র প্রসারিত করার পরামর্শ দেন তিনি।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ভিয়েতনাম ১৯৮৮ সালে কাজুবাদাম চাষ শুরু করে এবং ১৯৯৮ সালে বাণিজ্যিক চাষে গিয়ে আজ তারা বিশ্বে এক নম্বর হলে আমরা কেন পারবো না। বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার কৃষির জন্য যা যা করার সব করবে। কৃষিপণ্যটি রপ্তানি করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্ভাবনাময় রপ্তানি পণ্যের তালিকায় উঠে এসেছে কৃষিপণ্যটি।  

যে সব দেশে কাজুবাদাম বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয় সে সব দেশে গিয়ে অভিজ্ঞতা অর্জনের তাগিদ দেন মন্ত্রী। এবং দেশে তার প্রতিফলন চান।  

সংগঠনের সভাপতি মো. হারুন বলেন, উচ্চমূল্যের কাজুবাদাম পুষ্টিকর ও মজাদার খাদ্য। এটি উৎকৃষ্ট শিশুখাদ্যও বটে, যার চাহিদা সারা বিশ্বে দিনে দিনে বাড়ছে। একটি গাছ ৫০ কেজি করে গ্রিন হাউস গ্যাস (কার্বন ডাই-অক্সাইড) শোষণ করে, এ গাছটিকে পরিবেশের বন্ধুও বলা চলে। বাদাম উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাত করণে জনবলের প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে নারীদের কর্মসংস্থান হবে।  

সংগঠনের নেতারা জানান, ২০১৪ সাল থেকে বান্দরবানের রুমা উপজেলার পাশাপাশি থানচি, রোয়াংছড়ি ও সদর উপজেলা, খাগড়াছড়ি এবং রাঙামাটিতে কাজুবাদাম চাষ হচ্ছে। বর্তমানে প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হয়। নিজস্ব চারা থেকে উৎপাদিত গাছ থেকে উৎপন্ন বাদামে তারা লাভবান হচ্ছেন। ২০২১ সালের লক্ষ্যমাত্রা ৮০ হাজার মে. টন, ২০৩০ সালের মধ্যে ১৫ কোটি গাছ রোপণ করে ২ লাখ হেক্টর জমি চাষের আওতায় আনা হবে। এতে উৎপাদন হবে প্রায় ১০ লাখ মে. টন, যার বাজারমূল্য ২৬ হাজার কোটি টাকা। প্রসেসিং কারখানা থাকলে এবং প্রসেসিং করে রপ্তানি করা গেলে এই অর্থের পরিমাণ দ্বিগুণ হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৯
জিসিজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।