ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শেয়ারবাজার

পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বিএসইসিকে অভিনন্দন ডিএসই’র

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৮ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৯
পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বিএসইসিকে অভিনন্দন ডিএসই’র ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়

ঢাকা: পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেনের নেতৃত্বে প্রশংসা করে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (২৭ মে) ডিএসই থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেএএম মাজেদুর রহমান বিএসইসির চেয়ারম্যানের কাছে এই অভিনন্দন বার্তা দিয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০১০ সালে শেয়ারবাজার বিপর্যয়ের পর দেশের বাজার পুনর্গঠনের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার ২০১১ সালের মে মাসে ড. এম খায়রুল হোসেনকে চেয়ারম্যান করে বর্তমান কমিশন গঠন করে। তার নেতৃত্বে বর্তমান কমিশন অত্যন্ত ধৈর্য সহকারে প্রজ্ঞা ও মেধা দিয়ে সুদীর্ঘ ৮ বছর শেয়ারবাজার উন্নয়ন, নিয়ন্ত্রণ ও বিভিন্ন সংস্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এই সময়ে বাজার তথা বিনিয়োগকরীদের স্বার্থে প্রয়োজনীয় আইনগত সংস্কার ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার আজ এক নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে।

বিগত ৮ বছরে বর্তমান কমিশনের নেতৃত্বে আইনভিত্তিক ও প্রযুক্তি নির্ভর যে শেয়ারবাজার গড়ে উঠেছে, তা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য তথা বিনিয়োগকারীসহ সব স্টেকহোল্ডারদের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদ বিশ্বাস করে। এ অভূতপূর্ব সাফল্যের জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদের ৯২৪তম বোর্ড সভায় বিএসইসি’র চেয়ারম্যান ড. এম. খায়রুল হোসেন ও কমিশনারদেরকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ দেওয়ার প্রস্তাব গৃহীত হয়।

বর্তমান কমিশনের বহুবিধ সংস্কারমূলক কাজের অংশ হিসেবে শেয়ারবাজার তথা বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী নানামুখী সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেয়।  

এর মধ্যে ছিল-শেয়ারবাজারে অনিয়ম চিহ্নিত করার মাধ্যমে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া এবং বাজার পর্যবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধান প্রক্রিয়া জোরদার করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিকমানের সার্ভেইলেন্স সফটওয়্যার স্থাপন। যা বাজারের স্বচ্ছতার ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এছাড়া বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণের জন্য সরকার কর্তৃক বিশেষ স্কিম ঘোষণা; শেয়ারবাজারের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার জনগণকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ এবং এর ঝুঁকি সম্পর্কে অবহিত করতে দেশব্যাপী বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম প্রচলন; তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা/পরিচালকদের সম্বিলিতভাবে ৩০ শতাংশ এবং এককভাবে ২ শতাংশ শেয়ার ধারণ বাধ্যতামূলক করা; শেয়ারবাজার সংক্রান্ত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য পুঁজিবাজারে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

এছাড়াও বাজার উন্নয়নে আরো গুরুত্বপূর্ণ ও যুগান্তকারী পদক্ষেপ নেওয়া হয়। যা বাজারের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৯
এসএমএকে/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।