ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

কৃষক বাঁচাতে চাল রফতানি করা হবে: অর্থমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৪ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৯
কৃষক বাঁচাতে চাল রফতানি করা হবে: অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: কৃষক বাঁচাতে হবে এবং ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করা হবে। পাশাপাশি ভর্তুকি দিয়ে হলেও চাল রফতানি করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

রোববার (১৯ মে) দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে নিজ দফতরে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

২০১৯-২০ অর্থ বছরের জাতীয় বাজেট ঘোষণার আগে কৃষি এবং এর উপ-খাতগুলোতে সরকারের বরাদ্দ ও বিশেষ গুরুত্ব প্রস্তাব হিসেবে অর্থমন্ত্রীর কাছে সুপারিশ পেশ করেন কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ।

ভর্তুকি দিয়ে সবজি রফতানি করায় উৎপাদন বেড়েছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, উৎপাদন ভালো হলেও দাম পাচ্ছিলো না কৃষকরা। কৃষকের কথা চিন্তা করে আমরা ভর্তুকি দিয়ে সবজি রফতানি শুরু করলাম। আর সবজি উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন চার নম্বরে। রফতানির কারণে এর বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়েছে। সবজিতে অন্তত দামটা পাচ্ছে কৃষকরা।

শুধু সবজি নয়, যে পণ্য বেশি উৎপাদন হবে সেগুলো রফতানি করা হবে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী। তার মতে, চাহিদা ও জোগানের মধ্যে ব্যবধান না হলেই ন্যায্যমূল্য পাবেন কৃষক।

ধানের দাম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও আমরা অনেক বেশি ধানসহ খাদ্যশস্য উৎপাদন করতে পেরেছি। আমাদের যেমন বেশি উৎপাদন হয়েছে, আশপাশের দেশেও তেমনি করে খাদ্যশস্যের উৎপাদন বেড়েছে। বাইরে যদি ডিমান্ড (চাহিদা) থাকতো, আমরা রফতানি করতাম। বাইরেও চাহিদা নেই। তারপরও দেশের কৃষকদের বাঁচাতে চাল আমদানি বন্ধ করা হবে।

তিনি বলেন, আমাদের কৃষককে বাঁচাতে হবে। আমরা সরকার থেকে যেটা করতে পারি, সেটা হলো আমদানি রেস্ট্রিক্ট (নিয়ন্ত্রণ) করতে পারি। সরকারিভাবে আমরা এ কাজটি করবো। অবশ্যই রেস্ট্রিক্ট করবো। আমরা তো এটা বন্ধ করে দিতে পারবো না।

‘আমার মন্ত্রণালয় থেকে যা যা করা দরকার, সেগুলোর প্রতিফলন আপনারা দেখতে পাবেন’, যোগ করেন অর্থমন্ত্রী। তার বিশ্বাস, প্রধানমন্ত্রী বিষয়টা অবশ্যই সুবিবেচনা করবেন। এটি তার মন্ত্রণালয়েরই কাজ।  

মুস্তফা কামাল বলেন, চলতি বছর ধান উৎপাদন বেশি হয়েছে। কিন্তু এখন চালের দাম আন্তর্জাতিক বাজারেও কম। চালও প্রয়োজনে ভর্তুকি দিয়ে রফতানি করতে পারি। সেই উদ্যোগটাও আমরা নেবো। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করবো।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ফসল ফলিয়ে তারা যদি উৎপাদনের খরচ না পায়, তাহলে একদিকে তারা নিরুৎসাহিত হবে। অন্যদিকে আমরা মনে করি, এটি সরকারের জন্য একটি অনৈতিক বিষয়। সরকারকে সবদিকেই দেখতে হবে, উৎপাদনও দেখতে হবে, উৎপাদনের জন্য সহায়ক যা আছে, এগুলোরও সমাধান দিতে হবে। এটা সরকারের নৈতিক দায়িত্ব। আমি মনে করি, এটা অবশ্যই করণীয়।

কৃষি যন্ত্রপাতির বিষয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, আমাদের কাছে যে তথ্য রয়েছে, আমরা যে কৃষি যন্ত্রপাতিগুলো দেই, সেগুলো নিতেও চায় না। আমরা অনেক ভতুর্কি দিয়ে দিতে চাই। জোর করে দেওয়া লাগে। সবাইকে অবহিত করতে হবে, যদি কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করেন, তাহলে উৎপাদন বাড়বে। ব্যয়ও কমে আসবে। এ ব্যয় কমানোর জন্যও আমাদের ব্যবস্থা নিতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৯
এমআইএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।