ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

রমজানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থানে সরকার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৯
রমজানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থানে সরকার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী

ঢাকা: রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে ও চাঁদাবাজি বন্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বানিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, কোনো অজুহাতেই রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তে দেওয়া হবে না। বাজার মনিটরিং চলছে। সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে চিঠি দেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে চালকল মালিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত, সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রয়েছে।

আসন্ন রমজান মাসে কোনো পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাবে না এবং সরবরাহে ঘাটতি থাকবে না। চাহিদার তুলনার অনেক বেশি পণ্য মজুত রয়েছে।  

নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা কামনা করেন টিপু মুনশি।

রমজান মাসে ব্যবসায়ীদের সততার সাথে ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রি করার আহ্বান জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আসন্ন রমজান মাসে কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির সংগত কোনো কারণ নেই। পণ্য পরিবহনে যেকোনো ধরনের চাঁদাবাজি সরকার শক্ত হাতে দমন করবে। এক্ষেত্রে কোন ছাড় দেওয়া হবে না। চাঁদাবাজি বন্ধে  প্রতিটি জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ঠ সংস্থাগুলোকে চিঠি দেওয়া হবে।

চালকল মালিকদের বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, চালকল মালিকরা চাল রফতানির প্রস্তাব প্রসঙ্গে বলেছেন, বর্তমানে দেশে চাল পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। পাশাপাশি দামও কম তাই এখন রফতানি না করলে কৃষকসহ অন্যান্যরা ক্ষতিগ্রস্ত  হবে। তাই তারা চাল রফতানি করতে চায়। আমি তাদের প্রস্তাব শুনেছি এবং তাদের বলেছি, এ বিষয়ে কৃষি, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে মজুদ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে চিকন মিনিকেটের ডিমান্ড রয়েছে। সুগন্ধি চাল রফতানি হচ্ছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের সকল পণ্যের দাম গত বছরের তুলনায় কম রয়েছে। তবে চিনির উৎপাদন খরচ বাড়ায় কেজিতে এক টাকা দাম বেড়েছে। এছাড়া ছোলা, চাল, ডাল, তেল ও আলুর দাম স্বাভাবিক রয়েছে। আলু আমাদের উৎবৃত্ত রয়েছে। যা রফতানি করা যায় কিন্তু চাহিদা না থাকায় করা যাচ্ছে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৯
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।