ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

রপ্তানি বৃদ্ধিতে পণ্যের বৈচিত্র্য বাড়াতে হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৯
রপ্তানি বৃদ্ধিতে পণ্যের বৈচিত্র্য বাড়াতে হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠান

ঢাকা: বিশ্বব্যাপী রপ্তানি বাড়াতে পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ ও উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর আহবান জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব মো. মফিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, এজন্য আমাদের সর্বপ্রথমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সক্ষমতা ও অবকাঠামো বাড়াতে হবে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় উৎপাদন বাড়িয়ে পণ্যের বাজার, মান ও বিক্রি বাড়াতে হবে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে ‘ট্রেড অ্যান্ড ডব্লিউটিও: এ স্পেশাল কোর্স ফর জার্নালিস্ট ফর প্রিন্ট মিডিয়া’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুনির চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনান্স বিভাগের প্রফেসর ও সেন্টার ফর মাইক্রোফাইনান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, ট্যারিফ কমিশনের মেম্বার ড. মোস্তফা আবেদ খান এবং ডব্লিউটিও সেলের পরিচালক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব হাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

 

প্রশিক্ষণ কোর্সটি যৌথভাবে আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর মাইক্রোফাইনান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেল।

বাণিজ্য সচিব বলেন, বিশ্ব বাণিজ্যে আমাদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হলো যোগাযোগ ব্যবস্থায় ঘাটতি, বিদেশি বিনিয়োগ না আসা, অনুন্নত অবকাঠামো, সক্ষমতা ও দক্ষ জনবলের অভাব। এজন্য আমাদের দক্ষতা বাড়িয়ে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এছাড়া বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য করতে হলে আরও প্রতিযোগিতায় যেতে হবে। এক্ষেত্রে অনেক বাধা আসবে। সেগুলো আলাপ আলোচনা করে সমাধান করতে হবে। বিদেশের বাজার দখল করতে পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে হবে। প্রতিযোগিতা করেই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ক্লাশে পড়ানোর সময় বাণিজের বিষয়গুলো বিস্তারিত পড়ানোর সুযোগ থাকে না। কারণ পঠ্যবই রচিত হয় ইউকে’র পাঠ্যসূচির আদলে। তাই ওই সব বইয়ে বাংলাদেশের মত দেশের বাণিজ্যের বিয়ষগুলো উল্লেখ থাকে না। এজন্য বাণিজ্যের ধারাগুলো জানতে দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি করে আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়তে হবে। যাতে আগামী প্রজন্ম ব্যবসার জ্ঞানে দক্ষ হয়ে ওঠে। তাহলে দেশের অর্থনীতিতে যে চ্যালেঞ্জ দেখা যাচ্ছে তা দ্রুত কাটানো সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৯
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।