ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দক্ষতা বাড়ানোর পরামর্শ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৯
চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দক্ষতা বাড়ানোর পরামর্শ প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

ঢাকা: উন্নয়নশীল দেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দক্ষতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন বাণিজ্য বিষয়ক সিনিয়র সচিব মফিজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের বাণিজ্য বাড়াতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, যোগাযোগ ও আধুনিক প্রযুক্তিতে দক্ষতা বাড়াতে হবে। আমরা ২০২৪ সালে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর হবো।

আর বর্তমানে এলডিসিভুক্ত (স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা) দেশের আওতায় যে সুবিধা পাচ্ছি তা ২০২৭ সালের পর থেকে পাওয়া যাবে না। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা শিক্ষা অনুষদের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে ‘ট্রেড অ্যান্ড ডব্লিউটিও: এ স্পেশাল কোর্স ফর জার্নালিস্ট ফর প্রিন্ট মিডিয়া’ শীর্ষক এক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা শিক্ষা অনুষদের প্রফেসর জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুনির চৌধুরী, ডব্লিউটিও সেলের পরিচালক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব হাফিজুর রহমান প্রমুখ।

মফিজুল ইসলাম বলেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে আমাদের দক্ষতা বাড়াতে হবে। তা না হলে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে যাবো। আমাদের চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে প্রতিযোগিতা বেড়েছে। এর ফলে আমাদের মধ্যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। এই অসুস্থ প্রতিযোগিতা থেকে বেরিয়ে সুস্থ প্রতিযোগিতার দিকে যেতে হবে।  

তিনি বলেন, বিশ্ব বাণিজ্যে আমাদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হলো যোগাযোগ ব্যবস্থায় ঘাটতি, বিদেশি বিনিয়োগ না আসা, অনুন্নত অবকাঠামো, সক্ষমতা ও দক্ষজনবলের অভাব। এজন্য আমাদের দক্ষতা বাড়িয়ে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।

বাণিজ্য সচিব বলেন, বর্তমানে উন্নত বিশ্ব ম্যানুফেকচারিং ও ক্ষুদ্র শিল্পে যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে তারা বাংলাদেশকে বেছে নিয়েছে। যার ফলে বাংলাদেশ একটি ডাম্পিং স্টেশনে পরিণত হচ্ছে। এখন থেকেই এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। এজন্য আমাদের অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।  

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুনির চৌধুরী বলেন, ডব্লিউটিও আমাদের জন্য আর্শীবাদ, তবে ধীরে ধীরে এটা সংকীর্ণ হয়ে যাবে। কারণ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হলে ২০১৭ সালের পর ডব্লিউটিও এর আওতায় সুবিধাগুলো পাবো না। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এখন থেকেই প্রস্তুতি হিসেবে দক্ষতা বাড়ানো আধুনিক প্রযুক্তি ও অটোমেশনের দিকে যেতে হবে। এজন্য বিশ্ব বিদ্যালয়গুলোতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ে আলাদা একটি করে প্রতিষ্ঠান করতে হবে, যাতে করে বর্তমান প্রজন্ম ব্যবসা ক্ষেত্রে দক্ষ হয়ে গড়ে ওঠে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৯
জিসিজি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।