ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাংলাদেশ-থাই বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর আহ্বান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৯
বাংলাদেশ-থাই বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর আহ্বান থাই ট্রেড ফেরারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা/ছবি: ডি এইচ বাদল

ঢাকা: বাংলাদেশ এবং থাইল্যান্ডের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি। একই সঙ্গে এদেশে বিনিয়োগ করতে থাইল্যান্ড সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে হোটেল সোনারগাঁওয়ের গ্র্যান্ড বলরুমে চার দিনব্যাপী থাই ট্রেড ফেরারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল।

বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয়। তিনি বলেন, আমাদের প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশের বেশি। তাই থাই সরকার ও সেখানকার বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য আহ্বান জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, থাইল্যান্ড পর্যটন ও চিকিৎসা সেবায় এগিয়ে রয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে পারে। ভিসা জটিলতা দূর করতে মন্ত্রী থাই সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।

অনুষ্ঠানে বিডা নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম বলেন, ১৯৭৪ সাল থেকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। ইতিমধ্যে থাইল্যান্ডের বিপুল সংখ্যাক বিনিয়োগকারী বাংলাদেশে বিনিয়োগের ইচ্ছা পোষণ করেছে। অনেকেই বিনিয়োগ করেছেন। থাইল্যান্ডের পণ্য ও সেবার প্রতি বাংলাদেশিদেরও আগ্রহ রয়েছে। এছাড়া ট্যুরিজম ও চিকিৎসা সেবায় ওপর আমাদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
 
তিনি আরও বলেন, উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক দিন দিন বাড়ছে। থাইল্যান্ডের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাসও দেন তিনি।

বাংলাদেশে থাই দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ক্রাইচোক অরুণ পাইরোসকুল, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যকার বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদারের পাশাপাশি দু’দেশের ব্যবসায়ীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর লক্ষ্যে এ মেলার আয়োজন। বাংলাদেশের থাই দূতাবাস ও থাইল্যান্ডের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করেছে।

মেলায় মোট ৭৬টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।  চলবে ৩০ মার্চ পর্যন্ত।

তিনি বলেন, চার দিনব্যাপী মেলায় প্রদর্শিত প্রধান পণ্য সমূহ ও সেবার মধ্যে রয়েছে চিকিৎসা-স্বাস্থ্যসেবা, প্রসাধনী, গার্মেন্টস ও ফ্যাশনসামগ্রী, ইলেকট্রনিক পণ্য, জুয়েলারি, স্পা, ফলমূল, খাবার-পানীয়, কনফেকশনারি, সাজ-সজ্জার উপকরণ, জুতা-মোজা, চামড়াজাত পণ্য ও গৃহস্থালি বিভিন্ন পণ্য। এ প্রদর্শনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণ এবং উদ্যোক্তারা আসল থাই পণ্য ও সেবার সঙ্গে পরিচিত হতে পারবেন।

এদিকে থাইল্যান্ড ফেয়ার আয়োজন শুরু হয়েছিল দীর্ঘদিন আগে, যা ছিল থাইল্যান্ডের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রয়াশ। এ মেলা উভয় পক্ষের জন্যই সফল একটি আয়োজন হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল। বাংলাদেশের অনেকেই এ মেলার মাধ্যমে ব্যবসার নতুন সুযোগ খুঁজে নিতে সক্ষম হয়েছে। ফলে সেই সাফল্যর রেশ ধরে প্রতিবছর এ মেলা আয়োজিত হচ্ছে।

মেলার পাশাপাশি বাণিজ্য বিষয়ক দফতর এবং প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল আয়োজন করেছে থাই ফুড ফেস্টিভ্যাল। এছাড়াও এ মেলায় প্রতিদিনি থাই শিল্পীদের পরিবেশনায় থাই ক্ল্যাসিকাল ডান্স শোর আয়োজন রয়েছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। এছাড়া বাংলাদেশে থাই দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ক্রাইচোক অরুণ পাইরোসকুল, থাই অ্যাম্বাসির মিনিস্টার কাউন্সিলর (কমার্শিয়াল) সুবসাক ড্যাংবুনরুয়াং এবং থাই-বাংলাদেশ চেম্বারের সভাপতি এম শাহজাহান উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৯
এসএমএকে/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।