ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শেয়ারবাজার

বাজার মূলধন দুই হাজার কোটি টাকা হারিয়েছে ডিএসই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৪ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০১৯
বাজার মূলধন দুই হাজার কোটি টাকা হারিয়েছে ডিএসই

ঢাকা: গত সপ্তাহে (৩-৭ মার্চ) সূচকের মিশ্র প্রবণতার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন। সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিনদিন এ বাজারে সূচক বাড়লেও দুইদিন পতন হয়েছে। একই সঙ্গে সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমায় ডিএসইর বাজার মূলধনে এর প্রভাব পড়েছে। ফলে বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসই বাজার মূলধন হারিয়েছে দুই হাজার ৫১ কোটি টাকা। 
 

ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
 
গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল চার লাখ ১৫ হাজার ৭৩ কোটি টাকা।

শেষ কার্যদিবসে তা কমে দাঁড়ায় চার লাখ ১৩ হাজার ২২ কোটি টাকা। অর্থ্যাৎ পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে দুই হাজার ৫১ কোটি টাকা বা ০ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
 
এ ব্যাপারে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) প্রেসিডেন্ট শাকিল রিজভী বলেন, শেয়ারের দাম কমায় বাজার মূলধনে প্রভাব পড়েছে। বাজার মূলধন মূলত শেয়ারের দাম কমা ও বাড়ার উপর নির্ভর করে। তিনি বলেন, গত দুই মাসে (জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি) শেয়ারের দাম বৃদ্ধি কারণে বাজার মূলধন প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে। তাই দুই হাজার কোটি টাকা কমাকে স্বাভাবিক বলে তিনি মনে করেন।
 
এদিকে বাজার মূলধন কমার পাশাপাশি গত সপ্তাহে ডিএসইর মূল্য সূচকের পতন হয়েছে। গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২৫ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এর আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ৩৪ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
 
অপর দু’টি সূচকের মধ্যে গত সপ্তাহে ডিএসই-৩০ আগের সপ্তাহের তুলনায় ৫ দশমিক ৫২ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ১৮ শতাংশ কমে এক হাজার ৯৯৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ৩ দশমিক ৫৩ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ১৮ শতাংশ।
 
অন্যদিকে গত সপ্তাহে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ১০ দশমিক ৯৬ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ৮৩ শতাংশ কমে এক হাজার ৩০৩ দশমিক ৬৮ পয়েন্টে রয়েছে। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বাড়ে ১ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ১৩ শতাংশ।
 
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৫২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে ৯৩টির দাম বেড়েছে, কমেছে ২৩০টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টি এবং ৩টি কোম্পানির শেয়ারের কোনো লেনদেন হয়নি।
 
গত সপ্তাহে ডিএসইতে ৫ কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৯৭৯ কোটি ৯২ লাখ ৬৬ হাজার ২০০ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৯১৩ কোটি ৪২ লাখ ২৫ হাজার ৬৩৮ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ৬৬৫ কোটি ৪০ হাজার ৫৬২ টাকা বা ২ দশমিক ২৪ শতাংশ।
 
এদিকে, গত সপ্তাহে ডিএসইতে গড় লেনদেন হয় ৫৯৫ কোটি ৯৮ লাখ ৫৩ হাজার ২৪০ টাকা। এর আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৭২৮ কোটি ৩৫ লাখ ৫৬ হাজার ৪০৯ টাকা। অর্থাৎ গত সপ্তাহে প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ১৩২ কোটি ৩৭ লাখ তিন হাজার ১৬৯ টাকা।
 
গত সপ্তাহে মোট ৯০ দশমিক ৫০ শতাংশ ‘এ’ ক্যাটাগরি কোম্পানির শেয়ারের লেনদেন হয়েছে। এছাড়া ৭ দশমিক ৭১ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরি, ১ দশমিক ১৯ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরি কোম্পানির শেয়ার এবং ০ দশমিক ৬১ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের লেনদেন হয়।

অন্যদিকে, সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ১২২ কোটি ৭৩ লাখ ৫১ হাজার ৩৫৪ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিলো ৮২ কোটি ১৪ হাজার ৯৯০ টাকার। এ হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন ৪০ কোটি ৭৩ লাখ ৩৬ হাজার ৩৬৪ টাকা বেড়েছে।
 
গত সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৭৮ পয়েন্ট বা ০.৪৪ শতাংশ কমে ১৭ হাজার ৩৯৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এছাড়া সিএসসিএক্স ৪৯ পয়েন্ট বা ০.৫৩ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ৩ পয়েন্ট বা ০.২৫ শতাংশ এবং সিএসআই ৭ পয়েন্ট বা ১.০২ শতাংশ কমে যথাক্রমে ১০ হাজার ৩৯৫, ১ হাজার ২৬৯ পয়েন্ট ও ১ হাজার পয়েন্টে অবস্থান করছে।
 
বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ২৯৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের হাত বদল হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৯টির, কমেছে ১৮৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৯
এসএমএকে/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।