ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

পায়রা বন্দরের মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নে পরামর্শক নিয়োগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৯
পায়রা বন্দরের মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নে পরামর্শক নিয়োগ চুক্তিপত্র সই অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা

ঢাকা: পায়রা বন্দরের উন্নয়নে ডিটেইল মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের জন্য পরামর্শক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নেদারল্যান্ডের রয়েল হাসকনিং ডিএইচভি-সহ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) গবেষণা, পরীক্ষা ও পরামর্শক ব্যুরো (বিআরটিসি)। এতে ব্যয় হবে প্রায় ১২৫ কোটি টাকা।

বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পরামর্শক নিয়োগ সংক্রান্ত একটি চুক্তিপত্র সই করা হয়। পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর এম জাহাঙ্গীর আলম, বিআরটিসি, বুয়েটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. শামসুল হক এবং রয়েল হাসকনিং’র স্ট্র্যাটেজিক বিজনেস ডিরেক্টর এরিক স্মিট  নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিপত্রে সই করেন।

 

এসময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদ ও বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভারউইজ উপস্থিত ছিলেন।

পায়রা বন্দর সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারে বাস্তবায়নাধীন ১০টি ফাস্টট্র্যাকভুক্ত প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প।

এ কাজে বুয়েটের ২৯ জন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ও রয়েল হাসকনিং ডিএইচভি’র ৬১ জন বিশেষজ্ঞ অংশ নেবেন। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ২৪টি ডেলিভারেবলস রিপোর্ট (সমীক্ষা ও ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রোফর্মা) প্রণয়ন করবে। ডিটেইল মাস্টারপ্ল্যানসহ অন্য রিপোর্ট প্রণয়নে ১৮ মাস সময় লাগবে।  

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মাস্টারপ্ল্যান প্রণীত হলে বন্দরের অধিগ্রহণের জন্য নির্ধারিত প্রায় ৬ হাজার ৫শ একর জমিতে টপোগ্রাফি ও অন্যান্য সার্ভের মাধ্যমে ল্যান্ডইউজ প্ল্যানসহ টার্মিনাল ও সব স্থাপনার অবস্থান মাস্টারপ্ল্যানে চিহ্নিত হবে। ফলে পায়রা বন্দরের উন্নয়নের জন্য গৃহীত মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনাগুলো মাস্টারপ্ল্যান রিপোর্টের ভিত্তিতে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করে পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।  

এছাড়া মাস্টারপ্ল্যানের আন্তর্জাতিক মানের ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি ও প্রকিউরমেন্ট ডকুমেন্টস দ্বারা বন্দরের নির্মেয় বাণিজ্যিক অবকাঠামোগুলোর জন্য উপযুক্ত বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা যাবে। মাস্টারপ্ল্যানের রিপোর্টের আদলে স্মার্টিফিকেশন ও উন্নয়ন-কৌশল অবলম্বন করে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতিতে এবং প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে বৈদেশিক বাণিজ্যে বন্দরের সেবা দেওয়া যাবে। ফলে পায়রা  বন্দরভিত্তিক দেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবকাঠামো গড়ে তোলা এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণে মাস্টারপ্ল্যান রিপোর্টটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে।  

পায়রা বন্দর উন্নয়নে মধ্যমেয়াদী পরিকল্পনার আওতায় প্রথম টার্মিনাল নির্মাণ, রাবনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল ড্রেজিং ও রক্ষণাবেক্ষণ, ড্রাইবাল্ক/ কোলটার্মিনাল নির্মাণ, ভারতীয় ঋণ সহায়তায় মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। এছাড়া দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় নির্মাণ করা হবে ট্রান্সশিপমেন্ট কন্টেইনার টার্মিনাল, ডিপওয়াটার কন্টেইনার টার্মিনাল, অফশোর টার্মিনাল/সাপ্লাইবেস, কোর পোর্ট ইনফ্রাসট্রাকচার, নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন, হাউজিং এডুকেশন হেলথ ফ্যাসিলিটিজ, টাওয়েজ হারবার টাগস্, ইন্টারনাল ফেরি টার্মিনাল।  

অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিমানবন্দর, পায়রা বন্দরের রেল সংযোগ, শিপইয়ার্ড ও শিপ মেরামত কার্যক্রম, লিক্যুইড বাল্ক টার্মিনাল, এলএনজি টার্মিনাল ইত্যাদি প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৯
জিসিজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।