ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

অর্থনৈতিক অঞ্চল-বিদ্যুতে আরো ঋণ দিতে আগ্রহী জাইকা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৯
অর্থনৈতিক অঞ্চল-বিদ্যুতে আরো ঋণ দিতে আগ্রহী জাইকা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান

ঢাকা: মাতারবাড়ি ১২০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মোট ব্যয় ৩৬ হাজার কোটি টাকা। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) এ প্রকল্পে ২৯ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে।  সামনে নতুন নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণসহ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে আরো ঋণ দিতে চায় সংস্থাটি।

সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানের সঙ্গে এক বৈঠকে এমন আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাইকা প্রধান হিতোশি হিরাতা। বৈঠক শেষে মন্ত্রী এমন তথ্য জানান।

এম এ মান্নান বলেন, জাইকা বিদ্যুৎখাত ও অর্থনৈতিক অঞ্চলে আরো ঋণ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমরা যতে ঋণ নেবো জাইকা তত দেবে, আমাদের ঋণ দিতে জাইকা সবসময় ইতিবাচক থাকে।

তিনি বলেন, জাইকার কাছে রেল ও সড়কে ঋণ চেয়েছিলাম কিন্তু কোনো আগ্রহ দেখায়নি।  তাদের আগ্রহ বিদ্যুৎ ও অর্থনৈতিক অঞ্চলে। জাইকা আমাদের ভালো বন্ধু। দেশের উন্নয়নে জাইকা সব সময় আমাদের পাশে থাকবে।  

জাইকা প্রসঙ্গে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ৪০টি উন্নয়ন প্রকল্পে জাইকা আমাদের ঋণ দিয়েছে। সামনে নতুন নতুন প্রকল্পে ঋণ দেবে। আমরা যত ঋণ নেবো জাইকা তত দেবে। তবে প্রকল্প বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আমাদের সচেতন হতে হবে। মানুষের কল্যাণে আমাদের প্রকল্প নিতে হবে।

মন্ত্রী বলেন,  প্রকল্প প্রণয়নে অনেক দেরি হয়। এই সমস্যা যেন না থাকে এটা থেকে বের হতে বলেছে জাইকা।  

বাংলাদেশে ৪০টি উন্নয়ন প্রকল্প চালাচ্ছে জাইকা। দেশটির অর্থায়নে বর্তমানে বাস্তবায়নাধীন কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে মেট্রোরেল, মাতারবাড়িতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতী সেতু নির্মাণ, বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশে আরেকটি রেলসেতু নির্মাণে সমীক্ষা, কর্ণফুলী পানি সরবরাহ ও ভেড়ামারা বিদ্যুৎকেন্দ্র। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি সন্তোষজনক হওয়ায় আগামীতে জাইকা ঋণ সরবরাহ আরো বাড়াতে চায় বলেও জানান পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৯
এমআইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।