ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

গৃহস্থালি প্লাস্টিক পণ্যে বড় সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা

মাহফুজুল ইসলাম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৯
গৃহস্থালি প্লাস্টিক পণ্যে বড় সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা প্লাস্টিক পণ্য কিনছেন ক্রেতা, ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: শিশুদের খেলনা ও হাউজহোল্ড (গৃহস্থালি) আইটেমসহ পাঁচ ধরনের প্লাস্টিক পণ্যের দেশ-বিদেশে নতুন নতুন বাজারের সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা।

বাকি পণ্যগুলো, ব্যাগ ও বস্তা, ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য এবং ইলেক্টিক অ্যান্ড ইলেক্টনিক্স আইটেম। এগুলোসহ প্লাস্টিকের সব ধরনের পণ্য উৎপাদন ও বিপণনে দেশের বর্তমান বাজার ২৫ হাজার কোটি টাকা।

আর বিশ্ব প্লাস্টিক বাজার হচ্ছে ৫৭০ বিলিয়ন ডলারের। সেখানে বাংলাদেশের অবদান মাত্র দশমিক ০৬ শতাংশ।

ব্যবসায়ীরা মনে করছে, দেশের চাহিদা মিটিয়ে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্ব প্লাস্টিক খাতের ৩ শতাংশ পণ্য উৎপাদন ও বিপণনের সক্ষমতা অর্জন করবে। ফলে প্রতিমাসে এখন যেখানে মাথাপিছু ৫ থেকে ৬ কেজি প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার হচ্ছে।

সেখানে ব্যবহার হবে ৩৪ কেজি প্লাস্টিক পণ্য। এ লক্ষ্য অর্জনে একটি পরিকল্পনা নিয়েছে ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিজিএমইএ)।

সংগঠনটি সেক্টরের সঙ্গে জড়িতদের দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে একটি প্রশিক্ষণ ইন্সিটিটিউশন করেছে। একইসঙ্গে এ শিল্পে জড়িত ছোট-বড় মোট ৫ হাজার ইন্ডাস্ট্রিকে একত্রে নিয়ে আসার জন্য আলাদা একটি ইকোনোমিক জোন চেয়েছে সরকারের কাছে।

এদিকে প্লাস্টিক খাতের জন্য ১০ শতাংশ নগদ প্রণোদনা ও প্লাস্টিক খেলনার আইটেমের ওপর ভ্যাট মওকুফ চান তারা। এ সুযোগ-সুবিধা দিলে দ্রুত রফতানি বাড়বে। জাপান ও চীনের বাজার বাংলাদেশ দখল করতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যবসায়ীদের।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য মতে, ২০০৩-০৪ অর্থবছরের মোট রফতানির ১ দশমিক ৪১ শতাংশ এসছে প্লাস্টিক খাত থেকে। আর ২০১৭-১৮ অর্থবছরের মোট রফতানির ১ দশমিক ৬৪ শতাংশ এসেছে প্লাস্টিক খাত থেকে।

বিপিজিএমইএ’র তথ্য মতে, ২০০৩-০৪ অর্থবছরের প্লাস্টিক পণ্য ১০৭ দশমিক ২৯ মিলিয়ন ইউএস ডলার সমপরিমাণ অর্থের পণ্য রফতানি হয়েছে। সেখান থেকে বেড়ে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দাঁড়িয়েছে ৬০০ দশমিক ৪৯ মিলিয়ন ইউএস ডলার পণ্য রফতানি হয়েছে।

এ বিষয়ে বিপিজিএমইএ’র সভাপতি জসিম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, দেশের অনেক উন্নতি হচ্ছে, ফলে গার্মেন্টস ও ওষুধসহ সব ধরনের পণ্যে এখন প্লাস্টিকের ব্যবহার হচ্ছে। দেশে যতো উন্নত হবে, ততই প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার বাড়বে। তার কারণ মানুষ আধুনিক হবে। আর তার জন্য সবকিছুতে প্যাকেটজাতকরণ হবে। ফলে দেশ-বিদেশের চাহিদাও আরো বাড়বে।

তিনি আরও বলেন, এখন ২০-২৫টি কোম্পানি বিদেশে প্লাস্টিক পণ্য রফতানি করছে। আগামী দুই থেকে চার বছরের মধ্যে হয়তো ১০০-১৫০টি ইন্ডাস্ট্রি পণ্য রফতানি করছে। ফলে আমাদের এক্সপোটের গ্রোথও বাড়বে। তার কারণ এখন আমরা ৬ থেকে ৭শ’ মিলিয়ন প্লাস্টিক পণ্য রফতানি করছি। জার্মানিসহ ইউরোপিয়ানরা এখন আমাদের কাছ থেকে প্লাস্টিক পণ্য নিচ্ছে। আমাদের পণ্য ভাল হলে তারা আরো বেশি নেবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১০১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৯
এমএফআই/এএটি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad