ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হতে ব্যাপক বিনিয়োগ আনতে হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৮
উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হতে ব্যাপক বিনিয়োগ আনতে হবে

ঢাকা: বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার জন্য বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে সময় ও ব্যয় কমিয়ে আনা, অবকাঠামো এবং বিদ্যুৎখাতে ব্যাপক বিনিয়োগ নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তারা বলেন, দেশে বিনিয়োগ বাড়াতে পারলে বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৮ শতাংশ করা সহজ হবে।  

বুধবার (১৪ নভেম্বর) ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের (আইসিসিবি) ত্রৈমাসিক বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বুলেটিনে জানানো হয়, সরকার বিভিন্ন বড় প্রকল্প হাতে নেওয়ার ফলে গত দু’বছরে সরকারি খাতে বিনিয়োগ বেড়েছে। কিন্তু একই হারে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ বাড়েনি। প্রায় এক দশক ধরে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগের হার জিডিপির ২১-২৩ শতাংশের মধ্যে আটকে আছে। বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার অনুযায়ী বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ জিডিপির ৩৫ শতাংশ থাকা বাঞ্ছনীয়। অনেক এশিয়ান দেশেরই বিনিয়োগ জিডিপির ৩৫-৪৫ শতাংশের মধ্যে রয়েছে এবং সেইসব দেশ উচ্চতর প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, অর্পযাপ্ত অবকাঠামো, বন্দরে ভিড় লেগে থাকা এবং অপ্রতুল যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে বিনিয়োগের উপযুক্ত পরিবেশ থাকছে না এবং কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ দেশে আসছে না। বিদ্যমান বিনিয়োগের উপর পুনঃবিনিয়োগ হওয়ায় বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ছে।

অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের ৬০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন বলে ধারণা করা হয়। অথচ এর মধ্যে ৪০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ এসে থাকে। এ ঘাটতি পূরণের জন্য বিকল্প উৎস অনুসন্ধান প্রয়োজন। বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার পূর্বশর্ত হচ্ছে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো।  

এদিকে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্ব প্রবৃদ্ধির বড় চালিকাশক্তি হবে এইচএসবিসি’র বিশ্ব প্রতিবেদন ‘দ্য ওর্য়াল্ড ইন ২০৩০’ তে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, সেই সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি আকারের দিক থেকে ফিলিপিনস, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়ার মতো হবে। বর্তমানে আকারের দিক থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতি ৪২তম অবস্থান রয়েছে এবং ২০৩০ সালে এটি ২৬তম বড় অর্থনীতি হবে।   

লন্ডনভিত্তিক ব্র্যান্ড ফাইনান্স ‘ন্যাশন ব্র্যান্ডস ২০১৮’ এর প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্র্যান্ড ভ্যালুতে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৯তম এবং এর ব্র্যান্ড ভ্যালু ২৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা গত বছরের তুলনায় ২৪ শতাংশ বেশি।

বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ ‘ইজি ডুইং বিজনেস’ সূচক অনুযায়ী ১৯০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১৭৬তম অবস্থানে রয়েছে। যা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বনিম্ন (ভুটান ৮১, শ্রীলংকা ১০০, ভারত ৭৭)। সুতরাং বিদেশি বিনিয়োগ এবং বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ বাড়াতে এ সূচকে অবস্থান উন্নত করা অত্যন্ত জরুরি।

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৮
জিসিজি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।