ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

ব্যাংকিং

জনপ্রিয় হচ্ছে অ্যাপসে লেনদেন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১৮
জনপ্রিয় হচ্ছে অ্যাপসে লেনদেন প্রতীকী

ঢাকা: যানজট ঠেলে ব্যাংকে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে বিল পরিশোধ ও লেনদেন দিনে দিনে কমে যাচ্ছে। ঘরে কিংবা অফিসে বসে কাজের ফাঁকে ইন্টারনেট ব্যবহার করে অ্যাপস’র মাধ্যমে বিল পরিশোধ ও অন্যান্য লেনদেন জনপ্রিয় হচ্ছে। বিপুলসংখ্যক গ্রাহক ব্যবহার করছেন অনলাইন লেনদেন ব্যবস্থা মোবাইল ওয়ালেট।

এ মাধ্যমে এখন কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির বিল পরিশোধ, ই-কমার্সের কেনাকাটার মূল্য পরিশোধ করা যাচ্ছে। বর্তমানে মুদি দোকান থেকে শুরু করে বিমানের টিকিট বুকিং পর্যন্ত এখন কার্ড দিয়ে করা হচ্ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ২১ কোটি টাকা পরিশোধ হয়েছে আন্তঃব্যাংক ইন্টারনেট ব্যাংকিং চ্যানেলে। এ সময়ে মোট লেনদেন হয়েছে ১১ হাজার ৩৭৩টি। যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় সাড়ে ৫ শতাংশ বেশি।

অন্যদিকে ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ অব বাংলাদেশের (এনপিএসবি) আওতায় এটিএম ও পয়েন্ট অব সেলস মেশিনে (পিওএস) লেনদেন কমেছে। এটিএমে লেনদেন আগের মাসের তুলনায় সেপ্টেম্বরে ৩১ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং পস মেশিনে লেনদেন ১৫ শতাংশ কমেছে।

এ বিষয়ে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি’র চেয়ারম্যান ও ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, গত কয়েক বছরে লেনদেনের ধারায় ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। প্রতিনিয়তই পরিবর্তন হচ্ছে। এখন অনেকেই ব্যাংকে যেতে চান না। মোবাইল ফোনে অ্যাপসের মাধ্যমে ফান্ড ট্রান্সফার ও অন্যান্য বিল পরিশোধ করছেন। মানুষ সবসময় ঝামেলাবিহীন বিল পরিশোধ করতে চায়, তাই হচ্ছে।

ব্যাংকাররা জানান, ইন্টারনেট ব্যাংকিং তহবিল স্থানান্তর বা আইবিএফটি পদ্ধতি ব্যবহার করে ব্যাংক কর্মকর্তার কোনো ধরনের সহযোগিতা না নিয়ে গ্রাহক নিজেই আরেক ব্যাংকের গ্রাহককে পরিশোধ করতে পারেন। ফলে শাখায় গিয়ে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ানোর প্রয়োজন হয় না।

যদিও রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট বা আরটিজিএস, বাংলাদেশ অটোমেটেড চেক ক্লিয়ারিং হাউস (বিএসিএইচ) এবং ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার বা ইএফটিএনের মতো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে বেশ আগে থেকে ইলেকট্রনিক লেনদেন হচ্ছে। তবে এসব ক্ষেত্রে লেনদেন করতে ব্যাংকারের সহযোগিতার প্রয়োজন হয়। আইবিএফটি পদ্ধতিতে গ্রাহক নিজেই তহবিল স্থানান্তর করতে পারেন। এর বাইরে মোবাইল ব্যাংকিং, ডিজিটাল ওয়ালেট, ডেবিট ও ক্রেটিড কার্ড প্রভৃতির ব্যবহারও দিন দিন বাড়ছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাধারণভাবেই নগদ টাকা নিয়ে চলাফেরা করা অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ। এজন্য ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড ব্যবহার করেন অনেকেই। এখন সুপারশপসহ অধিকাংশ দোকানেই কার্ডের মাধ্যমে কেনাকাটার বিল পরিশোধ করা যাচ্ছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ফান্ড ট্রান্সফার করার সুবিধা নগদ টাকা বহনের ঝামেলা কমিয়েছে। এ মাধ্যমে এখন ঝামেলা ছাড়াই গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানি বিল পরিশোধ, ই-কমার্সের কেনাকাটার মূল্য পরিশোধ করা যাচ্ছে। বর্তমানে মুদি দোকান থেকে শুরু করে বিমানের টিকিট কাটা পর্যন্ত সবজায়গায় ক্যাশলেস লেনদেন হচ্ছে।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, ক্যাশলেস ট্রানজেকশন করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক নগদ টাকার লেনদেন কমিয়ে ক্যাশবিহীন লেনদেনের পরিমাণ বাড়াতে উৎসাহ দিচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৮
এসই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।