ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

ইউএস-বাংলা দুর্ঘটনার ৮ পরিবার পেলো বিমা দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৮
ইউএস-বাংলা দুর্ঘটনার ৮ পরিবার পেলো বিমা দাবি বিমা দাবির টাকা বুঝে নিচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: নেপালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত আরও আট পরিবারের বিমা দাবি পরিশোধ করেছে সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।

বুধবার (১৭ অক্টোবর) রাজধানীর মহাখালীতে রাওয়া কমপ্লেক্সে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এসব পরিবারের মাঝে চেক হস্তান্তর করা হয়।  

বিমা দাবির চেক পাওয়া আট পরিবারের মধ্যে ছয়জন নিহত ও দুজন আহত ব্যক্তির পরিবার।

নিহত পরিবারের স্বজনদের প্রত্যককে ৫১ হাজার ২৫০ ডলার সমপরিমাণ অর্থের চেক দেওয়া হয়। আহত দুই পরিবারের মধ্যে একজনকে ২৭ হাজার মার্কিন ডলার ও অপর পরিবারকে ১৫ হাজার ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেওয়া হয়।

সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শফিক শামিম বলেন, আমরা তিন বছর ধরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের সঙ্গে ছিলাম। দুর্ঘটনার পর থেকেই আমরা বিমার দাবি পরিশোধের চেষ্টা করেছি। এ ঘটনার এক মাসের মধ্যেই আমরা ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষকে সাত মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছি।  

তিনি বলেন, আজ আট পরিবারের বিমার অর্থ পরিশোধ করা হলো। এর আগে গত ৬ আগস্ট আমরা প্রথমধাপে আরও আট পরিবারের মাঝে বিমা দাবি পরিশোধ করেছি। এনিয়ে মোট ১৬ পরিবারকে প্রায় ১৫ কোটি টাকা দেওয়া হলো। আমরা আশা করি এ দুর্ঘটনার এক বছরপূর্তির আগেই ক্ষতিগ্রস্ত সব পরিবারের মাঝে বীমা দাবি পরিশোধ করা সম্ভব হবে।

চলতি বছর ১২ মার্চ নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ড্যাশ-৮ কিউ ৪০০ মডেলের উড়োজাহাজটি দুর্ঘটনায় পতিত হয়। উড়োজাহাজটিতে চারজন ক্রু ও ৬৭ জন যাত্রীসহ মোট ৭১ আরোহী ছিলেন। তাদের মধ্যে চারজন ক্রুসহ মোট ২৭ জন বাংলাদেশি, ২৩ জন নেপালি ও একজন চীনা যাত্রী নিহত হন।  

এছাড়া এ ঘটনায় আহত হন নয়জন বাংলাদেশি, ১০ জন নেপালি, একজন মালদ্বীপের নাগরিক।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল ফিরোজ হাসান পিএসসি, প্রতিষ্ঠানটির আইটি বিভাগের প্রধান ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, ইউএস-বাংলার মহাব্যবস্থাপক (মার্কেটিং সাপোর্ট ও পিআর) মো. কামরুল ইসলাম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৮
ইএ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।