ঢাকা, বুধবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ মে ২০২৪, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

সিপা চুক্তি স্বাক্ষরে সম্মত বাংলাদেশ-ভারত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৮
সিপা চুক্তি স্বাক্ষরে সম্মত বাংলাদেশ-ভারত বৈঠক শেষে যৌথ ঘোষণায় বাংলাদেশ-ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী | ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: ভারতের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে কমপ্রিহেনসিভ ইকোনোমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট (সিইপিএ) স্বাক্ষরে বাংলাদেশ-ভারত উভয় দেশ সম্মত হয়েছে বলে যৌথ ঘোষণায় জানিয়েছেন দুই দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী।

একইসঙ্গে পাটপণ্যের ওপর আরোপিত অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক দূর করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে রাজি হয়েছে ভারত। দুই দেশের পাটখাতের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আলোচনা ও যৌথ উদ্যোগ নিতে প্রস্তাব দিয়েছেন বাংলাদেশে সফরত ভারতীয় বাণিজ্যমন্ত্রী সুরেশ প্রভু।

এছাড়াও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউট (বিএসটিআই) সনদ গ্রহণে সম্মত হয়েছে ভারত।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় বাংলাদেশ ও ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শুরু হয়। এতে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও ভারতের পক্ষে সে দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী সুরেশ প্রভু।

বাংলাদেশ ও ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে মধ্যে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে আরো বেশকিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে।

উচ্চপর্যায়ের এ আলোচনায় দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট ইস্যু নিয়েই আলোচনা হয়েছে। দুই দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণ, পাটপণ্যের ওপর অ্যান্টি ডাম্পিং, বর্ডার হাট, ভারতের স্বল্পসুদে ঋণের অবকাঠামো উন্নয়ন, বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন, কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট (সিইপিএ), নতুন বর্ডার হার্ট নির্মাণ, ভারতীয় কোম্পানির জন্য দরপত্রের যোগ্যতার বৈষম্য, বন্দরের বাধা দূরীকরণ, বাংলাদেশি পাটপণ্যের ওপর ভারতের অ্যান্টি ডাম্পিং ডিউটি, পাটবস্ত্রের ওপর অ্যান্ট্রি সারকামভেনশন ইনভেস্টিগেশন, ছয়টি নতুন নন-ফুড পণ্য ও কস্টিক সোডার ক্ষেত্রে বিএসটিআই সনদের স্বীকৃতি নিয়েও আলোচনা হয়।

যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তোফয়েল আহমেদ বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য সংক্রান্ত তেমন কোনো অমীমাংসিত বিষয় নেই। যে সমস্যাগুলো ছিলো তা সামধান করা হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ বছরে আট বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। এটা ভারতের অনুকূলে। চীনের সঙ্গেও আমাদের ১২ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য রয়েছে। এতে আমাদের অখুশি হওয়ারও কিছু নেই। কারণ, ভারত আমাদের প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করে সহায়তা করছে। আমরা তুলা থেকে চাল, মসলা থেকে মেশিনারিজ সবই চাহিদা অনুযায়ী সেখান থেকে আনি। এ জন্যই আমরা দুই দেশ কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট (সিইপিএ) স্বাক্ষর করতে সম্মত হয়েছি।

তিনি বলেন, এখন থেকে ভারত বিএসটিআইয়ের সনদের বিষয়ে আর কোনো আপত্তি করবে না বলেও আমাদের কথা দিয়েছে। আমার দুই দেশের স্বার্থের জন্য ভালো এমন উদ্যোগও নেবো। একইসঙ্গে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার বর্তমান খারাপ অবস্থা কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশের সহায়তা চেয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের ফার্মাসিটিক্যাল শিল্প দেখতে স্কয়ারের কারখানা, একটি তৈরি পোশাক কারখানা ও একটি পাটকল পরিদর্শন করবেন। অন্যদিকে আগামী মাসে বাংলাদেশি ব্যাবসায়ী প্রতিনিধিদল নিয়ে আমাকে ভারত সফরেরও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে ভারতীয় বাণিজ্যমন্ত্রী সুরেশ প্রভু বলেন, বাংলাদেশ যা করেছে তা বিস্ময়কর। বর্তমানে বাংলাদেশের যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি তাতে খুব তাড়াতাড়ি বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে। এই অগ্রযাত্রায় ভারত বাংলাদেশের পাশে থাকবে। ভারতের এখন ১০ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি, তাই আমরা বাংলাদেশের পাশে থাকতে পারব। দুই দেশের জনগণের সম্পর্কের জায়গা থেকে ভারত বাংলাদেশের পাশে থাকবে। আজ আমাদের মধ্যে অনেক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি ইশতেহার আকারে সেগুলো পাঠানো হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৮/আপডেট: ১৬৪৮ ঘণ্টা
আরএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।