ঢাকা, শনিবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১১ মে ২০২৪, ০২ জিলকদ ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে এগিয়ে যেতে চায় বাংলাদেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৮
সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে এগিয়ে যেতে চায় বাংলাদেশ

ঢাকা: বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়ে প্রতিবেশীসহ সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে এগিয়ে যেতে চায়।

বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে ন্যাশনাল কনভেসশন সেন্টারে আয়োজিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে দেওয়া বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

সংগঠনের মেম্বার অব ম্যানেজিং বোর্ডের প্রেসিডেন্ট বর্গে ব্রেনডির সঞ্চালনায় দেওয়া বক্তৃতায় তোফায়েল আহমেদ বলেন, সাপটা, আপটা, বিবিআইএন, বিসিআইএম’র মতো জোটে থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনটি শর্ত পূরণ করে এডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার প্রথম ধাপ সফলভাবে অতিক্রম করেছে।

‘এলডিসি থেকে পাঁচটি দেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হচ্ছে। তবে এর মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশই কেবল একত্রে তিনটি শর্ত পূরণ করেছে। ২০২৪ সালে বাংলাদেশ পরিপূর্ণ ভাবে উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হবে। তখন বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা থাকবে না। তবে বাংলাদেশ ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে জিএসপি প্লাস সুবিধা পাবে। অন্যান্য দেশের সঙ্গে এফটিএ স্বাক্ষর করে বিশ্ব বাণিজ্যে এগিয়ে যাবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সব দেশের আন্তরিক সহযোগিতা চায়’।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্র দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। যারা একসময় বলতো, বাংলাদেশ একটি তলাবিহীন ঝুঁড়ি এবং বিশ্বের মধ্যে দরিদ্র দেশের রোল মডেল, আজ তারাই বলছে বাংরাদেশ বিশ্বের মধ্যে উন্নয়নের রোল মডেল। গতবছর বাংলাদেশ ৩৬ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে। সেবা খাতসহ মোট রপ্তানি ৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ব্যাংকে রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি, রেমিটেন্স ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি। বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্রেসিডেন্ট তোফায়েল আহমদের কাছ থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একান্তই মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের মাটিতে আশ্রয় দিয়েছেন। তিনি এ জন্য বিশ্ববাসীর কাছে থেকে মাদার অব হিউমেনিটি খেতাব অর্জন করেছেন। প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের সঙ্গে সমস্যাটি নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। বিশ্ববাসীর সহযোগিতায় বাংলাদেশ আশা করছে দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে এবং রোহিঙ্গারা দ্রুত তাদের নিজ বাড়িতে ফিরে যাবেন।

সম্মেলনে উপস্থিত মিয়ানমারের ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন মিনিস্টার কাইও টিন বাণিজ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে সমর্থন করেন।

আলোচনায় বক্তব্য রাখেন ভিয়েতনামের ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার ফামবিন মিন, মালয়েশিয়ার ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড মিনিস্টার ইগনেটিয়াস লেইকিং, দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাংকাইয়ুং হুয়া, শ্রীলংকার ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড মিনিস্টার মালিক দেবপ্রিয় সামারাউইকরামা, কম্বোডিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী প্যান সোরাসাক, পাপুয়া নিউ গুইনিয়ার ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার চার্লিস আবেল, তিমুর রেস্টিও পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাইয়োনিশিও দা কসটা বাবোসোয়ার্স।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৮ 
আরএম/এনএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।