ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

রিজার্ভ চুরি: যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলার নির্দেশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৮
রিজার্ভ চুরি: যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলার নির্দেশ

ঢাকা: রিজার্ভ চুরির ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) রিজার্ভ হ্যাকের বিষয়ে জড়িত কোরিয়ান নাগরিক শনাক্ত করার পর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা দিলেন তিনি। 

মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) উপদেষ্টা দেবপ্রসাদ দেবনাথ বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন।  

তিনি বলেন, নির্বাচনের আগেই রিজার্ভ চুরির ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলা হতে পারে।

গভর্নরের নির্দেশনা অনুযায়ী, মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। মামলা হলে শিগগিরই চুরি হওয়া সব অর্থ ফেরত পাওয়া যাবে।

বিএফআইইউ উপদেষ্টা দেবপ্রসাদ দেবনাথ বলেন, চলতি বছরের ৫ জুলাই ফিলিপাইনের আদালতে যে তথ্য উপাত্ত দেওয়া হয়েছে, সেখানেও আনুষ্ঠানিকভাবে হ্যাকিংয়ের বিষয়টি প্রাথমিক ভাবে প্রমাণিত হয়েছে। সর্বশেষ এফবিআইয়ের তদন্তেও হ্যাকিং প্রমাণিত হয়েছে। এফবিআই উত্তর কোরিয়ার হ্যাকার পার্ক জিনের সম্পৃক্ততা পেয়েছে। ফলে চুরি যাওয়া অর্থ ফেরত পাওয়ার ব্যাপারে সম্ভাবনা আরও বাড়লো।  

তিনি বলেন, নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশের অর্থ চুরি হয়েছিল, এজন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআইও এ ঘটনার তদন্ত করছে। এফবিআই উত্তর কোরিয়ার হ্যাকার পার্ক জিনের বিরুদ্ধে শুধু অভিযোগ গঠনের নির্দেশই দেয়নি, তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছে। কারণ, পার্ক জিন একটি বড় হ্যাকার চক্রের সঙ্গে জড়িত।  

এর আগে ৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার এক হ্যাকারের জড়িত থাকার তথ্য প্রকাশ করে এফবিআই। যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকার পার্ক জিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের নির্দেশ দেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি হওয়া ৮ কোটি ১০ লাখ ডলারের মধ্যে ফিলিপাইনের ফিলরেম মানি রেমিট্যান্স কোম্পানির কাছে রয়েছে এক কোটি ৭০ লাখ ডলার।  

সোলায়ার নামের একটি ক্যাসিনোতে গিয়েছিল ২ কোটি ৯০ লাখ ডলার। ওই অর্থ ফিলিপাইনের আদালত আটকে রেখেছে। এ বিষয়ে আরেকটি মামলা বিচারাধীন। আর কিম অং ক্যাসিনোতে যাওয়া ২ কোটি ১০ লাখ ডলারের মধ্যে দেড় কোটি ফেরত আনা গেছে। তবে প্রায় এক কোটি ৪০ লাখ ডলার শনাক্ত করা যায়নি।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৮
এসই/এএইচ/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।