ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

শেয়ারবাজার

জুলাই-আগস্টে পুঁজিবাজারে পৌনে ২ লাখ নতুন বিনিয়োগকারী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২, ২০১৮
জুলাই-আগস্টে পুঁজিবাজারে পৌনে ২ লাখ নতুন বিনিয়োগকারী

ঢাকা: চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই ও আগস্ট) প্রায় ২ লাখ বিনিয়োগকারী বাজারে এসেছেন। যার বেশিরভাগই প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) জন্য বিও (বেনিফিশারি ওনার্স) অ্যাকাউন্ট খুলেছেন।

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তবে এই সময়ে বাজার মন্দায় বিও অ্যাকাউন্টের খরচ মেটাতে না পারায় এক লাখেরও বেশি বিনিয়োগকারীর অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়েছে বলে জানা গেছে।

শেয়ার সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশের (সিডিবিএল) তথ্য মতে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের শেষ কার্যদিবস ৩০ জুন (শনিবার) ডিএসই ও সিএসই’র মোট বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব ছিলো ২৫ লাখ ৮৮ হাজার ২৯৪টি।

সেখান থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১ লাখ ৭১ হাজার ১০৫টি বিও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ লাখ ৫৯ হাজার ৩০৩টিতে। এর মধ্যে আগস্ট মাসে বিও বেড়েছে ৪৬ হাজার ১৬৯টি, বাকিগুলো জুলাই মাসে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সেকেন্ডারি বাজার ভালো না থাকলেও আইপিওর বাজার ভালো থাকায় বিনিয়োগ করলেই দ্বিগুণ লাভ। দ্বিতীয়ত নির্বাচনের আগ পর্যন্ত বাজার ভালো থাকবে এমন প্রত্যাশার পাশাপাশি ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব ‍বাংলাদেশসহ (আইসিবি) বেশ কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠানের মার্কেট সাপোর্টের কারণে কোরবানির ঈদের সময় থেকে ইতিবাচক ধারায় চলছে পুঁজিবাজার। ফলে নতুন করে দেশে ও বিদেশিরা বাজার আসছেন।

নতুন বিনিয়োগকারীযোগের ফলে বাজারে লেনদেন, সুচক ও বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ব‍াড়ছে। তাতে বিনিয়োগকারীদের পুঁজিও বেড়েছে হাজার কোটি টাকার বেশি।

প্রাইম সিকিউরিটিজের বিনিয়োগকারী ইশতিয়াক আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের ২৪ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাজার ভালো রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। আশা করছি একাদশ জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এতে নতুন করে বিনিয়োগকারীরা বাজারে আসছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসইর সাবেক সভাপতি শাকিল রিজভী বাংলানিউজকে বলেন, নতুন করে যারা বিও করেছেন তাদের বেশিরভাগই আইপিও মার্কেটের বিনিয়োগকারী। সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগকারী বেড়েছে হাতে গোনা কয়েকজন।

তিনি বলেন, নতুন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে প্রবাসী ও নারী বিনিয়োগকারী বেশি। কারণ বর্তমানে দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের চেয়ে ভালো কোম্পানির শেয়ারের দাম। পাশাপাশি চীনা পুঁজিবাজার বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে অংশীদার হয়েছে। এতে বাজারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়বে। তাতে বিদেশি কোম্পানিগুলো বাজারে বিনিয়োগ করতে আকৃষ্ট হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে কারসাজিরোধে ডিএসই দুর্বল ও মৌলভিত্তিহীন ২টি কোম্পানিকে তালিকাচ্যুত করেছে। আরো ১৫টি কোম্পানিকে তালিকাচ্যুতির পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একটু আস্থা বেড়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৮
এমআই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।