ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

তিন কারণে উন্নত হচ্ছে দেশ: অর্থমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৮
তিন কারণে উন্নত হচ্ছে দেশ: অর্থমন্ত্রী বক্তব্য রাখছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: তিনটি কারণে সিলেট বিভাগ উন্নত হচ্ছে বলে মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, সিলেটে উন্নয়ন হয়েছে ঠিকই কিন্তু তা বাংলাদেশের উন্নয়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তবে মাত্র ১০ বছরে যেটা আমরা করতে পেরেছি এটা একান্তই অসাধারণ। তিনটি বিষয়ের সমন্বয়ে তা সম্ভব হয়েছে- প্রগতিশীল উপযুক্ত নেতৃত্ব, কার্যকরী কলা-কৌশল এবং আমাদের দেশের মানুষকে কাজ বুঝিয়ে দিলে বুদ্ধিটা এতোই প্রখর যে বেশি লেখাপড়া না জানলেও পারে। আর এই পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও।

বুধবার (১১ জুলাই) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্টের (বিএসটি) আয়োজিত ‘আগামীর সিলেট-উন্নয়নের প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের যে উন্নয়ন কার্যক্রম তা সারা দেশব্যাপী।

বাংলাদেশে প্লেনে চড়লে যে দৃশ্য দেখা যায় তা হলো বড় বড় দালান। আমি কৈশোরে যখন বাংলাদেশে আসতাম তখন আলো ছিল না। আর এখন ৯২ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। যে সিলেট আমি চিনি বা কৈশোরের সিলেটকে দেখতে পাই না। অনেক দোকানপাট, ঘরবাড়ি, ইন্ডাস্ট্রির বিকাশ হচ্ছে। সিলেট যাওয়ার পথে দেখা যায় প্রচুর ইন্ডাস্ট্রি। তবে সব উদ্যোক্তা সিলেটের নয়, বাইরেরও। আমাদের এমপি ইমরান সিলেটের নয়, তার পিতা ও চাচা সিলেটে বসতি স্থাপন করেছেন। তাদের বাড়ি পঞ্চনদের দেশে। এটা ভালো প্রজন্মের মাঝে নতুনত্ব আসে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, সিলেটে মেডিকেল ব্যবস্থা ও শিক্ষা সম্পূর্ণ নগর কেন্দ্রীক। মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে তা দূর করা হবে। কিন্তু এখন শুধু ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন সম্ভব হবে। কারণ এটি সহজ ব্যাপার নয়। হাই কোয়ালিটি ম্যান পাওয়ার দরকার। আর এই সরকারের ক্ষমতাকালে পুরোটা সম্ভব না, কারণ এ সংক্রান্ত আইন পাশ হবে আগামী সংসদে। তবে একদিক দিয়ে আমি নিশ্চিন্ত। ২০০১ সালে এই প্রশান্তি ছিল না। কারণ এখন দেশ এগিয়ে যাচ্ছে আরও যাবে। এখন আমি রিটায়ার্ড করলেও তৃপ্তি নিয়ে করতে পারব। দেখেন ৪৮ বছর বয়সেই বাংলাদেশ ব্যাপক উন্নতি করেছে।

বিএসটি’র চেয়ারম্যান এমিরেটস অধ্যাপক ড. একে আব্দুল মোমেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ইয়াহিয়া চৌধুরী, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুজহাত চৌধুরী, সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক ও অভিনেতা পিযুষ বন্দোপাধ্যায়, পিকেএসএফ’র চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমদ, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক দুলাল, রুপালী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আহমদ আল কবির, বিএসটি’র সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব প্রমুখ।

নাট্যব্যক্তিত্ব পিযুষ বন্দোপাধ্যায় বলেন, সিলেট নগরী বিশ্বমানের উন্নত শহর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা হয় নি, কারণ একটি কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র করে তা করতে দেয় নি। কিন্তু এখন হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর কারণে। আবার নৌকা ক্ষমতায় আসলে সিলেটবাসীর স্বপ্ন পূরণ হবে।

পিকেএসএফ’র চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমদ সিলেট এলাকায় শিল্প বিনিয়োগ জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, সিলেটের অগ্রগতিকে সুসংহত করতে হবে। সিলেটের মানুষদের অভাব কম। তবে তারা তাদের অর্থটা নষ্ট করে বেশি। আমাদের চেষ্টা করতে হবে বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য। আর মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। এটা না হলে টেকশই উন্নয়ন সম্ভব না।

সংসদ সদস্য ইয়াহিয়া চৌধুরী বলেন, আমরা রাজধানী থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। কারণ আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ। চার লেন রাস্তা তৈরি করার পরিকল্পনা অনেক আগেই হয়েছে। কিন্তু বাস্তবায়ন এখনও হয়নি।

ইয়াহিয়া চৌধুরীর এ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের আরও সামনে যাওয়ার চিন্তা করতে হবে। সিলেটের অনেক সমস্যা রয়ে গেছে। সিলেটের সঙ্গে ঢাকার দূরত্ব অনেক বেশি। ঢাকা-সিলেট এক্সপ্রেসওয়ে করার চিন্তা করেছিলাম। কন্ট্রাক্ট পেয়ে চীনের কোম্পানি সচিবের কাছে ঘুষ নিয়ে হাজির হয়েছিল, তাকে বিদায় করতে হয়েছে। এখন চিন্তা করছি নিজেরা করব। আবার একবার একটা কন্ট্রাক্ট বাতিল হলে নতুন করে শুরু করা সময় সাপেক্ষ। ডাবল রেল লাইন করতে চেয়েছিলাম। সিলেটে ব্রিজের সংখ্যা অনেক বেশি। তাই রেলও অনেক ব্যয় সাপেক্ষ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৮
এমএএম/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।