ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শেয়ারবাজার

ডিএসইর অংশিদারিত্বে এলো শেনজেন ও সাংহাই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৮ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৮
ডিএসইর অংশিদারিত্বে এলো শেনজেন ও সাংহাই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বহুল আলোচিত স্ট্রাটেজিক পার্টনার (কৌশলগত বিনিয়োগকারী) হিসেবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করলো চীনের শেনজেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ।

সোমবার (১৪ মে) বিকেলে রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে দুই দেশের পুঁজিবাজারের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এতে ডিএসইর পক্ষে স্বাক্ষর করেন ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কে এ এম মাজেদুর রহমান।

 

চীনের দুই বাজারের মধ্যে শেনজেনের প্রেসিডেন্ট ও চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) ওয়াং জিয়ানজুন এবং সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জর চেয়ার অব সুপারভাইজরি বোর্ডের প্যান জুইজিয়ান স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তির ফলে ডিএসইর নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো।

এসময় বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খায়রুল হোসেন, ডিএসই’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল হাশেম, ডিএসইর পরিচালক ও সদস্য এবং পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।  

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ডিএসইর কৌশলগত বিনিয়োগকারী বা ডিএসইর অংশীদার হতে চীনা কনসোর্টিয়ামের আর কোনো বাধা রইলো না। এখন চীনা কনসোর্টিয়াম ডিএসইর শেয়ারহোল্ডারদের ৪৫ কোটি ৯ লাখ ৪৪ হাজার ১২৫টি শেয়ারের অর্থ পরিশোধ করলেই ডিএসইর মালিকানায় চলে আসবে। তবে এজন্য প্রতিটি শেয়ারের বিনিময়ে ২১ টাকা করে দিতে হবে। যা টাকার অংকে দাঁড়াবে ৯৪৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৬ হাজার ৬২৫ টাকা।

চীনা বাজার এবং ডিএসই মনে করছে, ডিএসইর শেয়াহোল্ডারদের এই টাকা পরিশোধ ও শেয়ার ট্রান্সফারের কার্যক্রম আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ হবে। আর এই টাক‍া দিলে‍ই ডিএসইর ২৫ শতাংশ মালিকানা পাবে চীনা দুই স্টক এক্সচেঞ্জ।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান

এরপর ডিএসইর পরিচালনা পরিষদে তাদের একজন প্রতিনিধি থাকবেন। আর কারিগরি ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নে ৩৭ মিলিয়ন ডলার খরচ করবে চীনা কনসোর্টিয়াম।

ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইন অনুসারে এই টাকার পরিশোধ ও শেয়ার ট্রান্সফারের মেয়াদ রাখা হয়েছে চুক্তি স্বাক্ষরের দিন থেকে এক বছর পর্যন্ত।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চীনের প্রধান তিন স্টক এক্সচেঞ্জের মধ্যে সাংহাই ও শেনজেন যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। বাজার মূলধনের দিক থেকে বিশ্বের সেরা দশ স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকায়ও রয়েছে এই দুই স্টক এক্সচেঞ্জ।

এর মধ্যে সাংহাই স্টক একচেঞ্জের বাজার মূলধন সাড়ে তিন ট্রিলিয়ন ডলার আর শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জের বাজার মূলধন দুই দশমিক দুই ট্রিলিয়ন ডলার। ডিএসইর বাজার মূলধন ৫১ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি।

উল্লেখ্য, কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে চীনা কনসোর্টিয়ামের (শেনজেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ) আবেদনের প্রস্তাব ৩০ এপ্রিল পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি’র কাছে জমা দেয় ডিএসই র্বোড। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৬৪৩তম কমিশন সভায় গত ৩ মে ডিএসই’র প্রস্তাব অনুমোদন করে বিএসইসি।

ডিএসইর এই মালিকানা পেতে চীনা কনসোর্টিয়াম ছাড়াও ভারতের ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ, ফ্রন্ট্রিয়ার বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের নাসডাক-এর কনসোর্টিয়াম আবেদন করেছিলো। দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চীনা কনসোর্টিয়ামকে ডিএসইর অংশীদার করার অনুমোদন দেয় কমিশন। তারই অংশ হিসেবে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হলো। এর ফলে ডিএসইও বহুজাতিক কোম্পানিতে রুপান্তরিত হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৮
এমএফআই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।