ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

কৃষি

বোরোর বাম্পার ফলনেও দাম কমায় লোকসানে কৃষক

ইমতিয়াজ আহমেদ জিতু, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪১ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৮
বোরোর বাম্পার ফলনেও দাম কমায় লোকসানে কৃষক ধানের মাঠে কৃষক। ছবি: বাংলানিউজ

কুমিল্লা: চলতি মৌসুমে কুমিল্লায় বোরোর বাম্পার ফলন হলেও ধানের বাজার দর নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন কৃষক। উৎপাদন ব্যয়ের তুলনায় ফসলের দাম কম হওয়ায় লোকসানে চাষীরা।

জানা গেছে, জেলায় বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা এক লাখ ৫৭ হাজার ৩২৮ হেক্টর নির্ধারণ করা হলেও আবাদ হয়েছে এক লাখ ৬১ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমি। হেক্টর প্রতি ধান উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৪.৯ টন।

লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আবাদ যেমন বেশি হয়েছে, তেমনি ফলনের দিক থেকেও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে উৎপাদন ভালো হয়েছে। তবে ধানের দাম কমে যাওয়ায় হওয়ায় হতাশ কৃষক।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বলছে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বিগত বেশ কয়েক বছরের তুলনায় এবার ফলন ভালো হওয়াতে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। চলতি বছর কৃষকরা দু’টি স্থানীয় জাতসহ ১৭ প্রকার হাইব্রিড ও প্রায় ২২ প্রকার উফশী জাতের ধানের চাষ করেছিলেন। এখন পর্যন্ত উৎপাদিত ধানের বেশির ভাগ কর্তন করেছেন কৃষক। কিন্তু ধানের দর পতনে বেশি ফলনেও তেমন লাভ দেখছেন না তারা।

জেলার আদর্শ সদর, বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া, সদর দক্ষিণ ও মুরাদনগর উপজেলার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ধানের ফলন ভালো হওয়াতে তারা বেশ খুশি। এখন ধান গোলায় তুলতে ব্যস্ত তারা। তবে উৎপাদন খরচের তুলনায় ধানের বাজার মূল্য নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষকরা। এতে করে বোরো চাষে লাভের মুখ দেখছেন না বলে জানান কৃষকরা।

চাষীরা বাংলানিউজকে বলেন, কিছুদিন আগেও বাজারে প্রতি মণ ধান বিক্রি হত ৯০০ থেকে এক হাজার টাকায়। কিন্তু এখন ৮০০ টাকার বেশি বিক্রি করা যাচ্ছে না। ফলে মাঠের ফলন দেখে যতটা খুশি আমরা হয়েছিলাম, এখন বাজার দরে ততটাই হতাশ।

তাদের দাবি, ধানের বাজার দর আরেকটু বেশি হলেই প্রত্যাশা ছাড়িয়ে যাওয়া বোরো ফলনের প্রাপ্তিটা হত কাঙ্ক্ষিত।

ধান কাটার জন্য প্রতি শ্রমিককে গড়ে সাড়ে ৬০০ টাকাসহ তিন বেলা খাবার দিতে হয়। জমি চাষ, বীজ, পানি সেচ, সার কেনাসহ প্রতি ৪০ শতক জমিতে গড়ে সাড়ে তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকার বেশি খরচ করতে হয়। এখন যদি ধানে ন্যায্য মূল্য না পান তাহলে লোকসান গুণতে হবে কৃষকের।

কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক দিলীপ কুমার অধিকারী বাংলানিউজকে বলেন, মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ সেবা দিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা। ফলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধান উৎপাদন হবে।

এদিকে, জেলা খাদ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, সরকার চলতি বছর সারা দেশের ন্যায় কুমিল্লা থেকেও ২৬ টাকা কেজি দরে ধান এবং চাল ৩৮ টাকায় সংগ্রহ করার পরিকল্পনা নিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৯ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৮
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।