ঢাকা: দেশীয় মেডিকেল ল্যাবরেটরিগুলোর টেস্টিং রিপোর্টে জনগণের মধ্যে আস্থার ঘাটতি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া।
তিনি বলেন, এজন্য প্রতিবছর অনেক মানুষ বিদেশে চিকিৎসা নিচ্ছে।
এ সময় তিনি হাসপাতাল, পর্যটনসহ বিভিন্ন সেবা শিল্পের প্রসারে দেশীয় ল্যাবরেটরিগুলোর আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখার পরামর্শ দেন।
সোমবার দুপুরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দেশে উৎপাদিত পণ্য ও সেবার মান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীত করার লক্ষ্যে বিজ্ঞান, শিল্প, স্বাস্থ্য, খাদ্যসহ সংশ্লিষ্ট খাতে গবেষণাগারগুলোর মানোন্নয়নের জন্য গঠিত অ্যাসোসিয়েশন অব টেস্টিং ল্যাবরেটরিজ, বাংলাদেশ এর বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানটির আয়োজ করে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি)।
বিএবি’র চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মঈনুদ্দিন মিয়াজীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমেদ ইসমাইল মোস্তফা, বিশিষ্ট বিজ্ঞানী আবুল কালাম এবং বিএবি‘র মহাপরিচালক মো. আবু আবদুল্লাহ বক্তব্য রাখেন।
দিলীপ বড়–য়া বলেন, শিল্পসমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে পণ্যের অভ্যন্তরীণ ব্যবহারের পাশাপাশি বিশ্ব বাজারে রপ্তানি বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে হবে। এ লক্ষ্যে দেশীয় শিল্প কারখানায় উৎপাদিত পণ্য ও সেবার মান আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে হবে। এজন্য দেশের গবেষণাগারগুলো প্রদত্ত টেস্টিং রিপোর্টের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা অর্জন জরুরি।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশে শিল্পায়ন প্রক্রিয়া বেগবান করার জন্য মেধার পরিচর্যা বাড়াতে হবে। জ্ঞানভিত্তিক শিল্পায়নের জন্য দেশিয় মেধাসম্পদের উপযুক্ত ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে মহাজোট সরকার পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেড মার্কস অধিদপ্তরের কার্যক্ষমতা শক্তিশালী করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করতে বিএসটিআই এর আধুনিকায়ণে সরকার প্রতিশ্র“তিবদ্ধ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন, রপ্তানি বাণিজ্যের কারিগরি বাধা মোকাবেলায় দেশীয় ল্যাবরেটরির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বা অ্যাক্রেডিটেশন অর্জন অন্যতম শর্ত। এ শর্ত পূরণে বাংলাদেশে কারিগরি ও অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
তারা এসব সীমাবদ্ধতা দূর করতে সরকারের সহায়তা কামনা করেন।
দেশে আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবরেটরি ও টেস্টিং ফ্যাসিলিটি স্থাপনে তারা সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব জোরদার করার পরামর্শ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৭ ঘণ্টা, ২৪ অক্টোবর, ২০১১