ঢাকা: বিনা শুল্কে রড ও এমএস প্রোডাক্ট ভারতে রপ্তানির দাবি করেছে সংশ্লিষ্ট তিনটি সংগঠন।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বাংলাদেশ অটো রিং-রোলিং অ্যান্ড স্টিল মিলস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ স্টিল মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ রি-রোলিং মিলস অ্যাসোসিয়েশন এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, ‘গত ৪ সেপ্টেম্বর বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকালে ভারতে বিনা শুল্কে এসব পণ্যের রপ্তানি সহজীকরণের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু সরকার ভারতের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি আদায়ে ব্যর্থ হয়েছে। ’
তারা আরও বলেন, সম্প্রতি পত্রপত্রিকায় দেখা যাচ্ছে, ভারত বাংলাদেশের আশুগঞ্জ নৌবন্দর ব্যবহার করে বিভিন্ন পণ্য ভারতের ‘সেভের সিস্টার্স’ নামে পরিচিত রাজ্যগুলোয় বিনা শুল্কে নিয়ে যাচ্ছে। সংগঠনগুলোর আশঙ্কা করছে, ভারতের এসব পণ্য বাংলাদেশে বিনা শুল্কে প্রবেশ করলে বাংলাদেশের অটো রি-রোলিং ও স্টিল শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে।
যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন, বাংলাদেশ অটো রিং-রোলিং অ্যান্ড স্টিল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল আবুল কাসেম মজুমদার, বাংলাদেশ স্টিল মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল মো. শাহজাহান ও বাংলাদেশ রি-রোলিং মিলস অ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারি আবু বকর সিদ্দিক।
ভারতে রড রপ্তানির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অটো রি-রোলিং অ্যান্ড স্টিল মিলস্ অ্যাসোসিয়েশন। গতকাল রবিবার সংগঠনটির নেতারা বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এ দাবি জানান।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের তৈরি এমএস রড ভারতের সাতটি অঙ্গরাজ্যে পৌঁছাতে অতিরিক্ত ৩০০-৪০০ টাকা খরচ হবে। অথচ ভারতের যেসব স্থানে রড তৈরি হয় সেখান থেকে ওইসব অঙ্গরাজ্যে পৌঁছাতে দেড়-দুই হাজার রুপি বেশি খরচ হয়।
সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংহের সফরে এসব দিক বিবেচনায় নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান এমএস রড রপ্তানির বিষয়ে শুল্কমুক্ত ও রপ্তানি সহজীকরণের বিষয়ে ভারতের কর্তৃপক্ষকে রাজি করাতে চান। কিন্তু ভারতীয় প্রতিনিধিরা এত সম্মত হননি।
তারা সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে একটি চক্রটি এদেশে জাহাজ ভাঙ্গতে দিচ্ছেনা। আবার বাংলাদেশকে ভারতীয় রি-রোলিং ও স্টিল শিল্পের বাজার বানাতে চায়। জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প বন্ধ হলে কেবল রি রোলিং মিলই নয়, হেভি ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টর, ইনল্যন্ড শিপ বিল্ডিং শিল্প, সরকারি-বেসরকারি পরিবহন খাত, তামা-পিতল রপ্তানি, কেবল ইন্ডাস্ট্রিজ, বিভিন্ন শিল্প অবকাঠামো, নির্মাণ শিল্প, আবাসন শিল্পসহ বিভিন্ন খাত সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১১