ঢাকা: টুজি লাইসেন্স নবায়ন বাবদ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) বাড়তি ৩৮৪ টাকা চাওয়ার ব্যাখ্যা চেয়েছে গ্রামীণফোন। আর এই ব্যাখ্যা চেয়ে গ্রামীণফোন মঙ্গলবার বিটিআরসির কাছে একটি চিঠি দিয়েছে।
গ্রামীণফোনের কাছে তিন হাজার ৩৪ টাকা পাওনা নিয়ে বিটিআরসির সঙ্গে বিরোধ মিটতে না মিটতে নতুন করে এই অর্থ চাওয়াকে কেন্দ্র দুপক্ষের মধ্যে দূরত্ব আরও বাড়ছে।
স্পেকট্রাম মার্কেট কম্পিটিশন ফ্যাক্টর (এমসিএফ) আমলে নিয়ে বিটিআরসি গ্রামীণফোনের কাছে ৩৮৪ কোটি টাকা দাবি করেছে।
গ্রামীণফোনের দাবি ২০০৮ সালে দুপক্ষের মধ্যে এ বিষয়ে লিখিত চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী ভবিষ্যতে লাইসেন্স নবায়নের জন্য এ বিষয়ে কোনো চার্জ নেওয়া হবে না।
এদিকে, তিন হাজার ৩৪ কোটি টাকা পাওনা নিয়ে সম্প্রতি গ্রামীণফোনের মূল কোম্পানি টেলিনরের সিইও জন ফ্রেডরিক বাকসাস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
গত ৪ অক্টোবর বিটিআরসি ভ্যাট ও ট্যাক্সবাবদ গ্রামীণফোনের তিন হাজার ৩৪ টাকা পাওনা ২১ দিনের মধ্যে পরিশোধ করার কথা জানিয়ে চিঠি দেয়। বিটিআরসির নিয়োগ করা অডিট ফার্ম বিভিন্ন খাতে গ্রামীণফোনের কাছে বিপুল অংকের টাকা পাওয়ার তথ্য বের করে আনে। এই পাওনা নিয়ে বিটিআরসি ও গ্রামীণফোন এক দফা বৈঠক ও একাধিকবার চিঠি চালাচালি করেছে। তা সত্ত্বেও সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১১